যারা ঘরে বসেই পদ্মা সেতু দেখেন, কেমন তাদের অনুভূতি

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২২, ১২:৪৭

পদ্মা সেতু সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ মেদেনীমন্ডল গ্রাম। ছবি: সংগৃহীত
সকালে ঘুম ভাঙার পর তারা প্রথমে দেখেন পদ্মা সেতু। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ মেদেনীমন্ডল গ্রামে ৩৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন আবুল কাশেম মাদবর (৭০)। ঘরের দরজা কিংবা জানালা খুললেই পদ্মা সেতু দেখতে পান তিনি। আবুল কাশেমসহ এ এলাকায় বসবাস করে প্রায় ৭৯০টি পরিবার। এই পরিবারের সদস্যরা সবাই প্রতি সকালে ঘুম ভাঙার পর দেখেন পদ্মা সেতু।
যারা ঘরে বসেই পদ্মা সেতু দেখেন তাদের অনুভূতি জানার চেষ্টা করেছি আমরা। মেদেনীমন্ডল গ্রামের অন্যতম বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি আবুল কাশেম বলেন, ঘরের ৩টি জানালা খুললেই দেখতে পাই পদ্মা সেতু। চোখ সরানোর উপায় নেই বললেই চলে। খুব কাছ থেকে সেতু নির্মাণের সব কাজ দেখেছি আমরা।
অত্র এলাকার আরেক বাসিন্দা অটোরিকশা চালক আকাশ হাওলাদার জানান, পদ্মা নদীর বুকে কীভাবে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলো তার সব কিছুই তাদের চোখের সামনে হয়েছে। বাসায় বসেই দেখা যায় পদ্মা সেতু। বাসার দরজা-জানালা খুললেই সেতুর ল্যাম্পপোস্ট, স্প্যান,পিলার দেখা যায়। আমরা অনেক ভাগ্যবান। আর কেউই হয়তো দর্শক হিসেবে প্রতিদিন সেতুর কাজ দেখতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
এলাকার ব্যবসায়ী মো. শরিফুল ইসলাম সঞ্জীব বলেন, সেতু নির্মাণের সময় কাজের শব্দ আমাদের কানে এসেছে। ২৪ ঘণ্টাই শব্দ পেয়েছি নির্মাণ কাজের।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য পৃথিবীর বড় বড় যন্ত্রপাতি এনেছিল মাওয়ায়। আমরা সবাই এসব দেখেছি। নতুন নতুন যন্ত্রপাতি দেখে আমাদের মাঝে কৌতূহলও তৈরি হয়েছিল।
ওই এলাকার চায়ের দোকানদার সালাম উদ্দিন বলেন, সেতু নির্মাণের শুরু থেকে চায়ের দোকানগুলোতে প্রতিদিন আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল সেতুকেন্দ্রিক। পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে যখন নানা বাঁধা এসেছিল তখন আমরাও দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এসব বাঁ শেষ। করোনা ও ঈদেও থেমে থাকেনি সেতুর কাজ। ঈদে আমরা সেতুর কাজ দেখেছি।
মাছ ব্যবসায়ী কাদের হোসেন বলেন, আমাদের এলাকার অনেক ছেলেরাও পদ্মাসেতুতে কাজ করেছে। পদ্মা সেতুতে যখন প্রথম আলো জ্বলল আমরা সবাই বাসা থেকে বের হয়ে সেতু দেখি। সেতুকে ঘিরে নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে এতে আমাদের এলাকার উন্নয়ন হবে।