সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মিডিয়া সেলে কর্মরত শুভ কুমার নামে এক কনস্টেবল এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী গত মঙ্গলবার (২১ জুন) আরএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল শুভ কুমার বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার সজল বিশ্বাসের ছেলে। সে আরএমপির মিডিয়া সেলে কর্মরত ছিলো। অভিযোগ দায়েরের পরে মিডিয়া সেল থেকে তাকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানারা গেছে, পুলিশ সদস্য শুভ কুমার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নগরীর লক্ষ্মীপুরের এক আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এমনকি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নগরীর একটি বাসা ভাড়া নিয়েও তারা বসবাস থাকতেন। 

এরপর গত ১৭ জুন রাতে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী শুভকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে অস্বীকৃতি জানানোয় পুলিশ কমিশনার বরাবর ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী জানান, শুভ ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের কথা বলে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বিয়ের কথা বলে তার আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিতেও বাধ্য করেন ওই পুলিশ সদস্যা। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো একটি ভাড়া বাসাতেও থাকতেন। কিন্তু হঠাৎ শুভ তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। বিয়ের জন্য বললে নিজেকে হিন্দু পরিচয় দেয়। এরপর বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এবিষয়ে আরএমপি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পরে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানা যাবে। আপাতত অভিযুক্ত কনস্টেবলকে অন্যত্র নিয়মিত ডিউটি দেওয়া হয়েছে।