আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন বাইকাররা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২২, ১৪:১৬

পিকআপে মোটরসাইকেল তুলে সেতু পার হচ্ছেন বাইকাররা ছবি: সংগৃহীত
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন গতকাল রবিবার (২৬ জুন) যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলে সেতু দিয়ে মোট ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পার হয়। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই মোটরসাইকেল। তবে এদিনই সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সেতু কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার (২৭ জুন) বাইকাররা সেতু পার হওয়ার জন্য অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছেন।
আজ সোমবার সকালে দেখা গেছে, পিকআপে বাইক তুলে পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন বাইকাররা। এই কৌশল অবলম্বন করে আইনও অমান্য না করে পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন বাইকাররা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টোল প্লাজার আগেই সব মোটরসাইকেল আটকে দেওয়া হচ্ছে। টোল প্লাজার আশপাশে তেমন গাড়ির জটলাও নেই। সেতু পাড়ি দিতে আসা বাইকগুলো পিকআপে তুলে সেতু পার করা হচ্ছে। প্রতিটি পিকআপে পাঁচ থেকে ছয়টি করে মোটরসাইকেল ওঠানো হচ্ছে। এর জন্য ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা করে নিচ্ছেন পিকআপ চালকরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘পিকআপে বাইক পার হচ্ছে- এমন কোনো দৃশ্য আমাদের চোখে পড়েনি। দেখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার যান চলাচলের প্রথম দিনে বাইক নিয়ে ঘুরতে গিয়ে পদ্মা সেতুতে দুর্ঘটনায় পড়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পরে বাইক চলাচল নিষিদ্ধের ঘোষণা আসে। তবে এ সিদ্ধান্তে বেকায়দায় পড়েছেন জরুরি কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া বাইকাররা।
আজ সোমবার সকাল থেকেই বাইক নিয়ে টোল প্লাজার সামনে ভিড় করেছেন অনেকেই। তারা বলছেন, সড়কে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। যে সমস্যাগুলো হয়েছে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণে কাজ করা যেতে পারে। তাই বলে বাইক নিষিদ্ধ করা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
যদি কোনো বাস দুর্ঘটনায় পড়ে, তাহলে কি বাস চলাচলও নিষিদ্ধ করা হবে কিনা- এমন প্রশ্ন তোলেন এক বাইকার।
সকালে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বাইকারদের জানানো হয়, মোটরসাইকেলের জন্য ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ঘাটে গিয়ে ফেরির ব্যবস্থা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাইকাররা। তারা বলছেন, একসাথে দেড়শ মোটরসাইকেল জড়ো না হলে ফেরিতে মোটরসাইকেল নেওয়া হচ্ছে না। এতে করে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।