কুড়িগ্রামে ফের বন্যায় পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২২, ১৭:৫১
-01-62bedfb053288.jpg)
কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফায় বন্যা। ছবি: কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। প্রথম দফা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই দ্বিতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে এ জেলার মানুষের। এসব এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। অন্যদিক পরপর দু’দফা বন্যার কবলে পড়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর সবুজপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেন জানান, প্রথম দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়ি এখনও মেরামত করতে পারেননি। এরমধ্যেই আবারো ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করেছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচরের হযরত আলী জানান, গত বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই চরের মানুষ। প্রত্যেকটি বাড়ির চাল পর্যন্ত পানি উঠেছিল। পানি নেমে যাওয়ার তিন-চার দিনের মাথায় আবার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। হাতে কাজ নেই। বউ, বাচ্চা নিয়ে খুব আতঙ্কে আছেন বলেও জানান তিনি।
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নেই ধরলার অববাহিকায় অন্তত ৮ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয় দফায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পার্শ্ববর্তী পাঁচগাছী ও হলোখানা ইউনিয়নসহ ধরলা ও দুধকুমারের অববাহিকার ইউনিয়নগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকায় অন্তত ২০ হাজার মানুষ নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন জানায়, দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে কি পরিমাণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তা নির্ধারণের কাজ চলছে।
উজানে ভারি বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামে ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন।