আখাউড়ার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি মৃতপ্রায়

আজিজুর রহমান পায়েল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২২, ১৫:১১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া শহরের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত কালন্দি খালটি দখলে নিতে জরিপ থেকে এর অস্তিত্ব মুছে ফেলা হয়েছে। খালটির এক পাড়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা এবং অপর পাড়ে অবস্থিত বাড়ির মালিকদের গ্রাসে এটি এখন মৃতপ্রায়।
আখাউড়া-আগরতলা চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ সীমানায় প্রবেশ করা কালন্দি নামের এই খালটি আখাউড়া পৌর শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল। এর অস্তিত্ব দিন দিন বিলীন হতে থাকায় জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ দিকে খালটির দুই পাড় সমানতালে দখল করলেও, স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। প্রশাসনের ভাষ্য, খালের জায়গাটি খাস হিসেবে রেকর্ডভুক্ত না হওয়ায় দখল প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খালটির দুই পাড়ই দখল করে পাকা বহুতল ভবনসহ দোকানঘর গড়ে তুলেছেন দখলদাররা। এমনকি খালের উপর নির্মিত কয়েকটি সেতুর দুই পাশও দখল করে নিয়েছে তারা।
আখাউড়া উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র জানায়, ৩৯ দাগে ৬৪ শতক, ১৪৯ দাগে চার একর নয় শতক, ২৯৫ দাগে ৩০ শতক ও ৩৭৫ দাগে ৬৫ শতক জায়গার উপর খালটির অবস্থান। উজানের পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট এ খালটি আখাউড়া-আগরতলা সড়কের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পৌর শহরের সড়ক বাজরের উপর দিয়ে তিতাস নদীতে গিয়ে মিশেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৯০-এর দশকের পর থেকেই খালটির উপর ভূমি দস্যুদের নজর পড়ে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দখলের বিস্তৃতি। এখন খালের দুই পাড়ই দখলের কবলে। দখলদারেরা দখলকৃত জায়গায় পাকা দোকানঘরসহ বহুতল ভবন পর্যন্ত গড়ে তুলেছেন। এমনকি খালের উপর নির্মিত সেতুগুলোর দুই পাশও দখল করে নিয়েছেন তারা।
আখাউড়া প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ বলেন, এলাকার মানুষ এই খাল দিয়ে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াত করত; কিন্তু এখন নজরদারি না থাকায় খালের উপর গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি, বাজার ও দোকানপাট। বর্তমানে খালটি বিলীন হয়ে গেছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, আমি গত সপ্তাহে যোগদান করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।