
শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান থেকে তোলা ছবি। ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে ১৯৫তম পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় এই ঈদগাহে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মো. হিফজুর রহমান খান।
বড় ঈদগাহ, বড় জামাত। বেশি মুসল্লির সাথে জামাত আদায় করলে দোয়া কবুল হয়- এমন বিশ্বাসে সকাল থেকেই এই ঈদ জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন লাখো মুসল্লি। এছাড়া দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের ঈদগাহ মাঠে আসার সুবিধার্থে ঈদের দিন সকালে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুইটি স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়।
ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে মাওলানা মো. হিফজুর রহমান খান করোনার মহামারি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় মহান আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করেন। একইসাথে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীসহ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুধীজন।
এদিকে ঈদগাহ ময়দানকে ঘিরে নেয়া হয় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহর এবং আশপাশের এলাকায় বাড়ানো হয় গোয়েন্দা নজরদারি। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় এক হাজার দুইশ’ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। চারটি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন ও সিসি ক্যামেরা ছাড়াও ড্রোন ঈদগাহের ভেতর ও বাইরের এলাকা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত ছিল।
ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য মোট ২৩টি ফটকের মধ্যে পাঁচটি ফটকের প্রবেশপথ উন্মুক্ত রাখা হয়। এসব প্রবেশপথে স্থাপিত আর্চওয়ে দিয়ে মুসল্লিরা শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করেন।
স্থানীয়দের মতে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। এরপর ধীরে ধীরে সেই ‘সোয়া লাখিয়া’ পরিচিত হয়ে ওঠে শোলাকিয়া নামে।