
ছবি : সংগৃহীত
ব্যতিক্রমী এক কাজ করে এলাকায় হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন শেরপুরের এক লোক। তার নাম আব্দুল হালিম (২৫)। পুকুরের পানির উপর নিজের বাসর ঘর তৈরি করে তিনি এলাকাবাসীর আগ্রহের কেন্দবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন।
শখের বসে নিজের নাম যাতে ছড়িয়ে
পড়ে এবং ব্যতিক্রমভাবে বিয়ের পরিকল্পনা করে হালিম মিয়ার পুকুরের পানির উপর তৈরি বাসর
ঘরটি অনেকের নজর কেড়েছে। এখন তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার চর শেরপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়ার আব্দুল হামিদের ৯ ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার ছোট হালিম মিয়া। তিনি পেশায় ওয়ার্কশপ শ্রমিক। তার ইচ্ছা ছিল ব্যতিক্রমীভাবে বিয়ে করার। সেই ইচ্ছা থেকেই এমন ভিন্ন আয়োজনের কথা মাথায় আসে তার। তাই তিনি ২২ জুলাই শুক্রবার তার বিয়ে উপলক্ষে এমন ব্যতিক্রমী বাসর ঘরটি তৈরি করেন। এ ঘটনার পর শুক্রবার বিকাল থেকে পানির উপর বাসর ঘরটি দেখতে ভিড় করেন আশপাশের লোকজন। অনেকেই বাসর ঘরের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে হালিম মিয়া বলেন, আমার
বিয়ের কথা ফাইনাল হওয়ার পর থেকেই আমার ইচ্ছা হয় ব্যতিক্রম কিছু করার। সেই ব্যতিক্রমী
ইচ্ছা থেকে আমার নানা ও চাচা মিলে উদ্যোগ নেয় পানিতে বাসর ঘর তৈরি করার। পরে গত ৪-৫
দিন ধরে আমার নানা ও চাচা মিলে আমাদের বাড়ির পাশে পুকুরের পানির উপর খুব কষ্ট করে তৈরি
করেন এই বাসর ঘর। পরে আস্তে আস্তে আশপাশের মানুষ তৈরি বাসর ঘরটি দেখতে আমার বাড়িতে
আসতে শুরু করেন। আমার খুব ভালো লাগছে, আমি অনেক উৎসাহ পাচ্ছি।
চাচা রোকন সরকার বলেন, আমার
ভাতিজার খুব ইচ্ছা ব্যতিক্রমভাবে বিয়ে করবে। পরে বিয়ে ঠিক হলে আমরা পারিবারিকভাবে কয়েকবার
বসে সিদ্ধান্ত নেই কী করা যায়। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় পানির উপরে বাসর ঘর তৈরি করার।
বাড়ির পাশে একটা পুকুর আছে, সেই পুকুরের মাঝখানে বাসর ঘর বানানোর কাজ শুরু হয়। বানানোর
সময় অনেক মানুষ বাজে মন্তব্য করছিলেন; কিন্তু সব সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এই বাসর ঘর দেখতে
মানুষ ভিড় করতে শুরু করেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ১২টায় বউমাকে নিয়ে হালিম বাড়িতে আসে এবং রাত ৩টায় দুজনকে আমরা বাসরঘরে তুলে দেই।
বাসর ঘর দেখতে আসা একজন বলেন,
আমার জীবনে এমন বাসর ঘর কোনোদিন দেখিনি। এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পেরে দেখতে এসেছি,
আসলেই ব্যতিক্রম এটি।
আরেকজন বলেন, পানির মধ্যে বাসর
ঘর, সত্যিই খুব ভালো হয়েছে। তার চমৎকার একটি আইডিয়া। খুব ভালো হয়েছে।
চরশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
সেলিম রেজা বলেন, আমার ইউনিয়নে এমন বিয়ে হওয়ায় মানুষের মাঝে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। আমার
জানামতে, পানিতে এমন বাসর ঘর দেখিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ দেখতে আসছেন এই বাসর
ঘর।