কক্সবাজারে পর্যটক সেজে হোটেল দালাল চক্রের ১৯ সদস্যকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আজ শুক্রবার (৫ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে শহরের কলাতলী ডলফিন মোড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হল- জাফর আলম (৩৮), মো. আব্দুলাহ (১৮), ইসমাইল (২৪), ইব্রাহীম (৩৭), নুর আলম (২৬), চাঁদ মিয়া (১৯), নজু আলম (৩৫), রুবেল (২৬), জুয়েল মিয়া (৩২), সাদেকুর (২৬), সৈয়দ নুর (৩০), সাহিদ (২৬), হেলাল উদ্দিন (৪০), সাগর (২৩), গিয়াস উদ্দিন (৩৩), সৈয়দ আলম (৩৬), মো. হোসেন (৪৭), রবিউল হাসান (২০), ও ইমরান (২১)।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের অটোরিকশার চালকরা হোটেল খুঁজে দেওয়ার নাম করে নিম্নমানের রুম দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করত। এই চক্রের সদস্যরা ভোররাত থেকে ডলফিন মোড়ের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। তাদের কেউ কেউ অটোরিকশা চালক হিসেবে পর্যটকদের অল্প ভাড়ায় ভালো হোটেলে নিয়ে যাবে বলে তাদের চুক্তি করা হোটেলে নিয়ে যেত এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ ব্ল্যাকমেইল করত।

তিনি আরো বলেন, এই চক্রের কিছু সদস্য নিরীহ পর্যটকদের ভাড়া করা কটেজে নিয়ে আটক রেখে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে থাকে। আর দাবিকৃত অর্থ দিতে অস্বীকার করলে চক্রের নারী সদস্যদের সাথে ভিকটিমের আপত্তিকর ছবি তুলে ভয় দেখিয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, চক্রের সদস্যরা ভোরে ডলফিন মোড়ের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। পরে পর্যটকরা বাস থেকে নামলে তাদের লাগেজ নিয়ে টানাটানি করে। একপর্যায়ে জোরপূর্বক হোটেলের রুম নিতে যায়। বিভিন্ন সময় পর্যটকদের হোটেল দেখিয়ে দেওয়ার নাম করে নির্জন জায়গায় নিয়ে তাদের সব কিছু লুট করেও নেয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, এসব বিষয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ আমাদের নজরে আসে। আমি আমার টিম নিয়ে পর্যটকের ছদ্মবেশে এই অভিযান পরিচালনা করি। আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।