নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১০ টাকা ভাড়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে অটোরিকশা চালক বলরাম মজুমদারকে (১৫) হাত-পা বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। একই সাথে চোরাই অটোরিকশার যন্ত্রাংশ উদ্ধার করেছে।

গ্রেপ্তার শ্যামল চন্দ্র দাস (৩২), পার্শ্ববর্তী সেনবাগ উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের নারায়ন চন্দ্র দাসের ছেলে। অপর আসামি আবদুল খালেক ওরফে তোতা মিয়া (৫২) উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি বাড়ির মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে। 

আজ বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর এসপি মো.শহীদুল ইসলাম। এর আগে,গতকাল বুধবার (১০ আগস্ট) কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।  

নোয়াখালীর এসপি মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, আসামিরা চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি অটোরিকশা চালক বলরাম মজুমদারকে (১৫) বসুরহাট কলেজ রোড থেকে যাত্রী হিসেবে তার অটোরিকশায় উঠে উপজেলার ৪নং চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের মহিষের ডগি এলাকায় নিয়ে যায়।

সেখানে ইউনুছ চৌকিদারের বাড়ির পূর্ব পাশে কৃষি জমিতে নিয়ে বলরামকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামিরা।

নিহত বলরাম (১৫) উপজেলার চর হাজারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সনাতন মহাজন বাড়ির ননী গোপালের ছেলে। সে পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি দুপুর পৌনে ২ টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ি সংলগ্ন মহিষের ডগি থেকে রিকশা চালক বলরামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এসপি আরো জানান, আসামি শ্যামল চন্দ্র দাসকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ভিকটিম বলরাম মজুমদারের সাথে ঘটনার ৪-৫ দিন পূর্বে অটোরিকশার ১০ টাকা ভাড়া নিয়ে গ্রেপ্তার দুই আসামির ঝগড়া হয়।

এর জের ধরে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে আসামি আব্দুল খালেক ওরফে তোতা মিয়ার কাছে ২৭ হাজার টাকায় অটোরিকশাটি বিক্রি করা হয়। যার মধ্যে ৫ হাজার টাকা অপর আসামি শ্যামল চন্দ্র দাসকে ভাগ দেওয়া হয়।