Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ব্যাপক ভাঙন

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২২, ১২:৪১

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ব্যাপক ভাঙন

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় ব্যাপক ভাঙন। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। এ কারণে সৈকতের লবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট পড়েছে চরম ঝুঁকিতে। ফলে পর্যটনের জন্য শ্রীহীন হতে পারে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুত্র সৈকত এলাকা।

গত ৪ বছর ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে উত্তরের সমিতিপাড়া পর্যন্ত ভাঙন দেখা দিচ্ছে। যেখানে অসংখ্য ঝাউগাছ বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু গত দুদিনে জোয়ারের পানিতে লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত তীব্র ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্মচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম, এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

আজ শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সাগর অস্বাভাবিক রকমের উত্তাল রয়েছে। ফলে সৈকতের বিভিন্ন অংশে চলছে ব্যাপক ভাঙন।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় ব্যাপক ভাঙন। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

সৈকতের লাবণী পয়েন্টের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তুহিন জানান, গত ৪ বছর ধরে লাবণী পয়েন্টের উত্তরে সাগরের ভাঙনে ঝাউগাছগুলো বিলীন হয়ে গেছে। লাবণী পয়েন্টের কিছু অংশও ভাঙনের কবলে পড়েছে। এটা রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ দেয়া হয়। কিন্তু গত কয়েকদিনের  জোয়ারে লাবণী পয়েন্টে ভাঙন তীব্র হয়ে উঠে। যে কারণে সৈকতের বালিয়াড়ির বিশাল অংশ বিলীন হয়ে ভাঙন কাছাকাছি চলে এসেছে। যেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সও প্রায় বিলীনের পথে।

সৈততে আগত পর্যটকদের কয়েকজন জানান, সৈকতে নামার প্রধান পথ হচ্ছে লাবণী পয়েন্ট। এ পয়েন্টে নামলেই সামনে ভাঙন। যা পর্যটকের জন্য আতংকেরও বটে।

গোসলে নেমে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত সি সেইফ সংস্থার লাইফগার্ড কর্মী মোহাম্মদ জহির বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম এ সৈকতের একমাত্র নিরাপদ গোসলের জায়গা হচ্ছে লাবণী পয়েন্ট। কিন্তু ভাঙনের কারণে পর্যটকরা আসবে কিনা সংশয় রয়েছে।

তিনি জানান, সৈকত লাগোয়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্ট থেকে দক্ষিণ দিকে লাবণী পয়েন্টের কাছাকাছি পর্যন্ত কয়েক বছর ধরে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের ধাক্কায় সৈকত বিলীন হচ্ছে। উপড়ে পড়ছে উপকূল রক্ষা লাগানো হাজার হাজার ঝাউগাছ। এর মধ্যে ডায়াবেটিক হাসপাতাল, শৈবাল ও লাবণী পয়েন্টে প্রায় ৫০০ মিটার সৈকত এলাকায় বড় আকারের ভাঙন দেখা দিয়েছে। যা এখন আরো বিস্তৃতি লাভ করেছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, সৈকতের তীব্র ভাঙনে কয়েকটি পুলিশ বক্স ঝুঁকিতে রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। এটা রোধে পরিবেশবান্ধব কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগের কাজ চলমান রয়েছে। স্থায়ীভাবে বাঁধ নিমার্ণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় ব্যাপক ভাঙন। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫