চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ। ছবি: চবি প্রতিনিধি
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন সংগঠনটির সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষাদের কথা বিবেচনা করে ফটক খুলে দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত শনিবার (২০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে এক সিএনজিচালক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত দেড় হাজার টাকা ভাড়া দাবি করেন। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ জানান আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী সুমিত মণ্ডল।
এর জেরে ওই সিএনজিচালক তাকে মারধর করেন। এ সময় তার সাথে থাকা বন্ধু নাইম আরাফাত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। সুমিত চবি শাখা ছাত্রলীগ সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী।
সুমিত জানান, শনিবার এক সিএনজিচালক ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত দেড় হাজার টাকা ভাড়া দাবি করেন। এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তারা। পরে ওই সিএনজিচালকসহ কয়েকজন তাদের রেলক্রসিংয়ে চা খেতে দেখে মারধর করেন।
মারধরের প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা চবির মূলফটক বন্ধ রেখে টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একাংশ। এ ঘটনায় ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফটক খুলে দেওয়া হয়।
চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, বারবার শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের হামলা চালাচ্ছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যারয় প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। ভর্তিচ্ছুদের সুবিধার্থে মূলফটক খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীকে মারধর করেন সিএনজিচালকরা। এ ছাড়া গত ২২ মার্চ ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে অটোরিকশাচালকের মারধরের শিকার হন চবি ছাত্রলীগের এক কর্মী।