লালমনিরহাটে প্রকাশ্য রূপ নিচ্ছে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২২, ১৮:০১

ছাত্রলীগের লোগো
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দিন দিন প্রকাশ্য রূপ নিচ্ছে। তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা একে অন্যের দোষ ত্রুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) পোস্ট দিয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
জানা গেছে, প্রায় এক যুগ ধরে আদিতমারী উপজেলা ছাত্রলীগের কোন কমিটি না হওয়া ও দলীয় সুযোগ সুবিধাসহ নানা কারণে আদিতমারী উপজেলা ছাত্রলীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের এমপি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজাজামান আহমেদ সমর্থিত এবং ছাত্রলীগের অপর অংশ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল হক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুখ ইমরুল কায়েস সমর্থিত।
তবে এতদিন ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দল অভ্যন্তরীণ থাকলেও বর্তমান সময়ে তা প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। তারা দলীয় ও জাতীয় অনুষ্ঠান আলাদাভাবে পালন শুরু করেছে। গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিও উপজেলা ছাত্রলীগ আলাদাভাবে পালন করেছে। এছাড়া উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা দলীয় কাজের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) একে অপরের কুৎসা রটনায় ব্যস্ত সময় পাড় করছে।
সম্প্রতি আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী ছাত্রলীগের এক মিছিলের স্লোগানে ভুলবশত একরাবের জন্য উচ্চারণ করেন ছাত্রদলের অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন। পরে স্লোগানের ওই বাক্যটি পুঁজি করে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) পোস্ট করে গৌরবময় ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস ও দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল হোসেন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম সরকার বাবু কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় ইয়াকুব আলীকে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে ইয়াকুবকে দেয়া চিঠিতে বলা হয় গত ২১ আগস্ট ছাত্রলীগের মিছিলে ইয়াকুব ছাত্রদলের অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন স্লোগান দেন। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। চিঠিতে ২ কার্যদিবসের মধ্যে ওই স্লোগানের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে ইয়াকুবকে। তা না হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এ ব্যাপারে ইয়াকুব আলী জানান, আমার ভুল হতে পারে। এজন্য গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেবো। কিন্তু এটিকে পুঁজি করে ছাত্রলীগের একাংশ আমাকে জড়িয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে শুধু আমাকে নয় ওরা গৌরবোজ্জ্বল ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। আর যারা ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও দলীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
আদিতমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল হোসেন সরকার বলেন, ইয়াকুব আলীর এমন স্লোগানে আমরা বিব্রত। সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে সে সংগঠন থেকে বহিষ্কার হতে পারে।