ছবি- সংগৃহীত
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ গ্রেপ্তার হওয়া গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টুসহ কারাবন্দি ৬ শ্রমিক নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমিন।
সভাপতি কাজী রুহুল আমিন বলেন, গতকাল রবিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালত ৬ নেতার জামিনের আদেশ দেন। সেই আদেশের ভিত্তিতে আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
মিন্টু ছাড়া জামিনে মুক্ত অপররা হলেন, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, আশুলিয়া থানা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আ. মজিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সহ-সভাপতি আলম পারভেজ ও মো. নান্নু মিয়া।
গত ২৭ জুন হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘চাঁদাবাজি’র অভিযোগ তুলে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শতাধিক অটোরিকশাচালক। এর পরদিন বিক্ষোভ থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে ১০ জন শ্রমিক নেতাসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
পরে এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ১৮ আগস্ট ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন ৬ শ্রমিকনেতা। আদালত তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলা ও ৬ নেতার কারাবন্দির প্রতিক্রিয়ায় কাজী রুহুল আমিন বলেন, সারা দেশে শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এই মামলাটি তারই বহিঃপ্রকাশ। শ্রমিকরা ন্যয্য দাবি তুললেই সরকার শ্রমিকদের হয়রানি করেন। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, গত ২৫ জুন আশুলিয়ায় রিক্সা- অটোরিকশা থেকে পুলিশের চাঁদাবাজী বন্ধের দাবিসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে সমাবেশ ডাকা হয়। ওই দিন পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের দিন হওয়ায় সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করা হয়। এদিকে ২৭ জুন শ্রমিকরা একই দাবিতে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুত এলাকায় শান্তিপূর্ন সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ শ্রমিকদের উপর লাঠিচার্জ করে আবার শ্রমিক নেতাদের জড়িয়ে শ্রমিকদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলাটি দায়ের করে।