চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বরে ছয়টি টিউবওয়েল রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর খাবার পানির ব্যবস্থা বলতে এসব টিউবওয়েল। তবে অনেকদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব টিউবওয়েলই অকেজো হয়ে গেছে। এতে করে প্রতিদিনই চরম ভোগান্তির শিকার হন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী ও তাদের সাথে আসা স্বজনরা। কিন্তু এ পানি সঙ্কটের সমাধানের কোনো চেষ্টাই লক্ষ্য করা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। অকেজো টিউবওয়েলগুলো কোন দপ্তর মেরামত করে সেগুলো কার্যকর করবে সেটা নিয়ে অব্যাহত রয়েছে একে অপরকে দোষারোপ।

ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী জানান, গত কয়েক মাস যাবত দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরের ৬টি টিউবওয়েল অকেজো পড়ে রয়েছে। এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরাসহ স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক আবেদন করার পর সমাধানের কথা বললেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। রোগীর স্বজনেরা দিনরাত তাদের খাবার পানি বাইরে থেকে সংগ্রহ করে আসছেন। 

তিনি জানান, গত ক’দিন আগে তার স্ত্রী অসুস্থ হলে তাকে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। স্ত্রীর সাথে তার শাশুড়িও সেখানে যান। সেখানে টিউবওয়েল যে নষ্ট তা তাদের জানা ছিলো না। সারা দিনরাত পানির কষ্টে তাদের দিন কাটাতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে পাশের মসজিদের টিউবওয়েল থেকে পানি এনে তা কাজে লাগাতে হয়েছে। যা রোগী ও তাদের স্বজনের জন্য হয়রানিমূলক। 

দামুড়হুদা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিউবওয়েল অকেজো হওয়ার বিষয়ে তাদেরকে জানানো হয়নি। জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যেতো। 

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান, টিউবওয়েল গুলো জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর স্থাপন করে দিয়েছিলো। ওগুলো চালু হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে যায়। তাদেরকে মেরামতের বিষয়ে বলা হয়েছে। তারা বলে মিস্ত্রি পাঠাবো, মেরামত করে দেবে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত মেরামত করে দেয়নি। 

তিনি আরো বলেন, টিউবওয়েল নষ্টের বিষয়ে ভুক্তভোগী কেউ কিছু জানাইনি বা অভিযোগ করেনি। উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।