শরৎকাল জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আর কিছুদিন পরই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।

নীলফামারীর প্রায় প্রতিটি মণ্ডপেই চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। মৃৎশিল্পীদের দম ফেলার সময় নেই। বিরামহীনভাবে কাজ করছেন তারা। এখন পর্যন্ত কাঠামো তৈরি থেকে শুরু করে মাটির প্রলেপ দেয়ার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ  হয়েছে।

শিল্পীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে দেবী দুর্গা, লক্ষী, স্বরস্বতী, গণেশ, কার্তিক, অসুরসহ সকল প্রতিমাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

পুরোহিত চন্দন চক্রবর্তী বলেন, পঞ্জিকা মতে আগামী ১৪ আশ্বিন ১৪২৯ বাংলা ষষ্ঠী তিথির মাধ্যমে শুরু হয়ে ১৮ আশ্বিন বিজয়া দশমীর মাধ্যমে বিসর্জন হবে দেবী দুর্গার । এবার দেবী দুর্গার আগমন ঘটবে গজে চড়ে আর গমন করবেন নৌকায়।

সদর উপজেলার কচুয়া চৌরঙ্গী হাট র্সাবজনীন পূজা মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কারিগর বিকাশ চন্দ্র রায় বলেন, আমরা প্রতিটি মণ্ডপে তিনজন করে কাজ করছি। এবার আমি পাঁচটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছি। প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির জন্য আমরা ১৫ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা নিচ্ছি। আমাদের এখন রাতদিন কাজ করতে হচ্ছে।

নীলফামারী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উত্তম কুমার রায় বাদল জানান, এবারে জেলায় ৮৯১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে।

নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, পূজা উদযাপনকে ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকবে এবং পূজা মণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রাখা হবে।