Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

অবৈধ ড্রেজারে ভাঙছে কালিগঙ্গা

Icon

দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৪২

অবৈধ ড্রেজারে ভাঙছে কালিগঙ্গা

অবৈধ ভ্রাম্যমাণ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ছবি: মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের কালিগঙ্গা নদীতে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ ড্রেজার বসিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনমিটার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। লাগাতার বালু উত্তোলনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে শত শত হেক্টর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। এতে কপাল পুড়ছে অসংখ্য পরিবারের।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল-শিমুলিয়া এলাকার কালিগঙ্গা নদীতে রাত তিনটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত ৬০-৭০টি অবৈধ ভ্রাম্যমাণ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। 

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইসরাফিল হোসেনের নাম ভাঙিয়ে মাসুদ, শামীম, সিরাজ, জাহাঙ্গীরসহ একটি চক্র এই অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। ড্রেজারপ্রতি ৫শ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে। চোখের সামনে ফসলি জমি ও বসতভিটা ভেঙে গেলেও ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা।

ড্রেজার মালিক মো. মজনু মিয়া বলেন, ইসরাফিল চেয়ারম্যানের ম্যানেজার শামীমের নেতৃত্বে মাসুদ, সিবাজ ও জাহাঙ্গীর প্রতিদিন সকালে টাকা নিয়ে যায়। তাদের দেখিয়ে দেওয়া নির্ধারিত স্থানেই আমরা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করি।

ড্রেজার মালিক সায়েদুর জানান, গড়পাড়া এলাকার শামীম ও তার লোকজন প্রতি ছোট ট্রলার থেকে ৫শ টাকা করে আদায় করে। টাকা না দিলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। বাধ্য হয়ে প্রতিদিন টাকা দেই। শামীম সম্পর্কে ইসরাফিল চেয়ারম্যানের ভাতিজা বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শামীম বলেন, একটি চক্র আমাদের নাম ভাঙিয়ে এই অপকর্ম করে যাচ্ছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইসরাফিল হোসেন বলেন, আমি অভিযুক্তদের চিনি না। যতদূর জানি নদী খননের ঠিকাদারের লোকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল জানান, ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে খবর নিচ্ছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫