সিলেটের ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বরের প্রকোপ

সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৫৬

সর্দি কাশি জ্বরের আক্রান্ত হয়ে পুরো পরিবারই হাসপাতালে। ছবি: ফাইল।
দিনে প্রচণ্ড গরম, আর রাতে ঠাণ্ডা। আবহাওয়ার এমন আচরণে সিলেটের ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বরের প্রকোশ দেখা দিয়েছে। ফলে ফার্মেসিগুলোতে এ সংক্রান্ত ওষুধের বিক্রিও বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেটের প্রায় প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ সর্দি, কাশি কিংবা জ্বরের আক্রান্ত। পাশাপাশি গত কয়েকদিনে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ও আজ শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বর্হিবিভাগে সর্দি, কাশি ও জ্বরের রোগীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
যদিও এটাকে মৌসুমী সর্দি, কাশি, জ্বর হিসেবেই দেখছেন চিকিৎসকরা। তবুও যেহেতু দেশে করোনার সংক্রমণ এখনও থামেনি, সেহেতু অসুস্থ হলে তা গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ১ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিলেটে ৮ দিনে অর্ধশতাধিক মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে ১ জন মারা গেছে। সব মিলিয়ে সিলেটের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো। তবে সর্দি, কাশি, জ্বর যদি দীর্ঘদিন থাকে, তাহলে ডেঙ্গু কিংবা করোনার আশঙ্কা কোনো ভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এ ব্যাপারে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. জাবেদ জিল্লুল বারী জানান, এ সময়ে সর্দি, কাশি, জ্বরের প্রধান কারণ হলো আবহাওয়ার পরিবর্তন। দিনে গরম আর রাতে হঠাৎ এমন আবহাওয়াই এজন্য দায়ী। তাছাড়া সিলেটে ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়ছে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে সর্দি, কাশি, জ্বর হলেই এন্টিবায়েটিক নয়। কারণ ৩-৪ দিন পর এমনিতেই তা সেরে যায়। কিন্তু পাঁচদিন পরও যদি শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হয় তাহলে ডেঙ্গু ও করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের স্মরণাপন্ন হতে হবে।