সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের ওপারে (ভারত) থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসা ভারতীয় চোরাই কয়লা বোঝাই ৩টি কাঠবডি নৌকাসহ ৬ চোরাকারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। 

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তেরঘর নামক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। 

তাহিরপুর থানার এসআই আবু বক্কর ছিদ্দিক বাদি হয়ে শনিবার দুপুরে আটককৃত ৬ চোরাকারবারিসহ ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে আটক আসামিকে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠায় পুলিশ। 

আসামিরা হলেন- উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের নবাব পুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), শাহনুর মিয়ার ছেলে স্বরুপ মিয়া (৫০), মৃত আত্তাজ আলীর ছেলে মুখলেছ মিয়া (৩৬) ও একই ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের মৃত শামছু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (২৮), লালঘাট গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে আসন আলী (২৮) ও নুর ইসলাম (২৮)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, তাহিরপুরের বালিয়াঘাট-চারাগাঁও, টেকেরঘাট সীমান্তের কয়েকটি চোরাচালানি চক্র গত দু’বছরের অধিক সময় ধরে বিনাশুল্কে ভারত থেকে কয়লা চালান করে নিয়ে আসে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে চোরাচালানকারী সিন্ডিকেট চক্রটি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে আটককৃত চোরাকারবারিরা তাহিরপুর উপজেলার ট্যাকেরঘাট সীমান্তের কবরস্থান , বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা, চারাগাঁও সীমান্তে লালঘাট ও চারাগাঁও এলাকা দিয়ে বিনাশুল্কে ভারত থেকে চোরাই পথে ভারতীয় চোরাই কয়লার বাংলাদেশ নিয়ে আসে। পরে ভোররাতে চোরাকারবারি সিন্ডিকেট চক্রটি ৩টি কাঠবডি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চোরাই কয়লার বস্তা বোঝাই করে পাশ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা যাওয়ার পথে খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার এসআই আবু বক্কর ছিদ্দিকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তেরঘর নামক স্থান থেকে ৬ চোরাকারবারিসহ কয়লা বোঝাই ৩টি নৌকা আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, তাহিরপুর থানার এসআই আবু বক্কর ছিদ্দিক বাদি হয়ে আটককৃত ৬ চোরাকারবারিসহ অজ্ঞাতনামা আরও আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। সব রকমের চোরাচালানরোধে পুলিশ সব সময়ই বদ্ধপরিকর।