Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

সরকারি হাসপাতাল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিতরণের অভিযোগ

Icon

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:০৮

সরকারি হাসপাতাল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিতরণের অভিযোগ

নাটোর সদর হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্রসহ মেয়াদোত্তীর্ণ সিপ্রোফ্লক্সাসিন ড্রাই সিরাপ। ছবি: নাটোর প্রতিনিধি।

নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে প্রায় চারমাস আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সিপ্রোফ্লক্সাসিন ড্রাই সিরাপ বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. মৃদুল হোসেন। তার বাড়ি জেলার সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের মঠগ্রাম এলাকায়।

অভিযোগকারী মৃদুল হোসেন জানান, গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি তার ছেলে আনাফ হোসেন সানিকে ডাক্তার দেখাতে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সুমনা সরকার রোগীকে দেখে ব্যবস্থাপত্রে সিপ্রো, জিংক ও ওরস্যালাইন লিখে দেন। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বহির্বিভাগ থেকে উপরোক্ত ওষুধগুলো বিতরণ করেন রেবেকা ইসলাম। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে ছেলেকে ওষুধ খাওয়াতে গিয়ে দেখেন সিপ্রো ওষুধের মেয়াদ ৪ মাস আগে অর্থাৎ মে ২০২২ শেষ হয়েছে।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, বহির্বিভাগের ওষুধ সরবরাহকারী রেবেকা ইসলাম রোগী ও তার সহযোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। আবার ওষুধ পর্যাপ্ত থাকলেও তা দিতে চান না।

এ ব্যাপারে নাটোর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. এমএ মমিন বলেন, ব্যাপারটা দুঃখজনক। কারণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো আলাদা করে ট্যাগ দেয়া হয়। পরে তা ধ্বংস করা হয়। আসলে এটা একটা মিসটেক। এ ধরনের ঘটনা সাধারণত ঘটে না। তবে তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযোগের ব্যাপারে বহির্বিভাগের ওষুধ বিতরণকারী রেবেকা ইসলাম জানান, গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) আমাদের বহির্বিভাগে ১০টা সিপ্রোফ্লক্সাসিন ড্রাই সিরাপ ছিল। তার মধ্যে ২টা বিতরণ করা হয়েছে। আর রোগীর এতো চাপ থাকে যে মেজাজ ঠিক থাকে না। তখন হয়তো একটু রাফ ব্যবহার করা হয়ে যায়। তবে ওষুধ থাকা পর্যন্ত তা বিতরণ করা হয় বলে তিনি দাবি করেন।

নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার বলেন, দুই একটা ওষুধ যে মেয়াদোত্তীর্ণ হয় না তা নয়। কারণ আমাদের তো সরকারি ওষুধ। মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো অপরাধ নয়। এটা বিতরণের সমস্যা। 

তিনি আরো বলেন, আমার জানা মতে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ড্রাই সিরাপ স্টোরে নেই। বহির্বিভাগ চাহিদাপত্র অনুযায়ী ওষুধ নেয়। সেখানে দুই একটা  মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকতেও পারে। তবে এটা আনএক্সপেক্টেড। ওষুধ বিতরণের আগে মেয়াদের তারিখ দেখে নেয়া উচিত। এব্যাপারে প্রশাসনিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫