বাসযাত্রীকে তিন দফায় সংঘবদ্ধধর্ষণ, চালকসহ গ্রেপ্তার ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস কোম্পানির বাস। ছবি: সংগৃহীত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী যাত্রীকে (৪০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বাস চালকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে সদর মডেল থানা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস বাসের চালক ও নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ঘাশিরদিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৬) এবং সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশ্বর গ্রামের টিম্বার মিলের মালিক তাজুল ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ তামিম (২১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে আখাউড়ার খরমপুর মাজারে যাওয়া উদ্দেশ্যে এক নারী (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস নামের একটি বাসে উঠেন।
মধ্যরাতে এসে জেলা শহরের কাউতুলী এলাকায় বাস হতে নামেন। অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে তিনি আখাউড়া যাওয়ার কোনো যানবাহন পাচ্ছিলেন না।
কিছুক্ষণ পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস কোম্পানির আরেকটি বাস কাউতুলী মোড়ে এসে দাঁড়ায়। এসময় আখাউড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এর স্টাফ ফুঁসলিয়ে সেই নারীকে বাসে ওঠায়। কিছুদূর যাওয়ার পর ভাদুঘর এলাকায় সেই নারীকে বাসের চালক নজরুল ও বাসের স্টাফ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে সেই নারীকে জোরপূর্বক রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশ্বরে তামিম টিম্বার মিলের ভিতরে নিয়ে তারা পুনরায় ধর্ষণ করে। ঘটনাটি দেখে ফেলায় টিম্বার মিলের মালিকের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ তামিম তার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সেই নারীকে আবারো ধর্ষণ করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী নারীকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে কাউতুলী এলাকায় এনে ছেড়ে দেয়। সেখান থেকে তিনি সদর মডেল থানায় এসে বিস্তারিত জানান।
পরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বাস চালক নজরুল ও টিম্বার মিলের মালিকের ছেলে তামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে ভিকটিম নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।