দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিদ্যুৎ সমস্যার অবসান

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩৭

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। ছবি: প্রতিবেদক
বরিশাল নগরীর সড়ক বাতি ও পানির পাম্পের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। টানা দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে সমঝোতায় পৌঁছায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল ক্লাবে বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও ওজোপাডিকো।
বৈঠকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামসহ সিটি কর্পোরেশন ও ওজোপাডিকো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল রাত ১১টায় বৈঠক শেষে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমান উল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে এবং সমঝোতা হয়েছে। তেমন কোনো সমস্যা মূলত হয়নি। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিলো, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রটোকল রয়েছে। সেখানে একটু সমস্যা হয়েছে। মেয়রের সাথে আলোচনা করতে ঢাকা ও খুলনা থেকে ওজোপাডিকোর এসেছেন। আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। প্রটোকলগত বিষয়ের কারণে এই দুই দিন সমস্যা হয়েছে। এখন থেকে আর কোনো সমস্যার সমাধান আমরা দেখছি না।
ওজোপাডিকো বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে। এখন থেকে প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ ও বকেয়া যে বিল রয়েছে সেটি ধীরে ধীরে পরিশোধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের সব কিছুই সমাধান হয়ে গেছে। মূলত আমাদের নিয়মিত বিল নিয়ে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা সবাই মিলে বসে একমত হয়েছি। আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নির্দেশনায় বিষয়টি সমাধান হয়েছে। মানুষ ভোগান্তি থেকে মূলত বেঁচে গেছে, এইটাই বড় বিষয়।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র যখন আমি তখন দায়ভারও আমার। অযথা অজুহাত দিয়ে তো লাভ নেই। এখন থেকে প্রতি মাসের বিল প্রতি মাসে দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা, যাতে বকেয়া না থাকে। যেহেতু বকেয়া আমাদের ছিলো সেহেতু দায়ভার তো আমাদেরই। সড়ক বাতি সব জায়গায় চালু হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে পানির লাইনও চালু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কাছে ৫৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা পাওনা ছিলো ওজোপাডিকো। সেই বকেয়া পরিশোধ না করায় নগরীর সড়ক বাতির ১৫টি বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওজোপাডিকো। পরে পুরো নগরীর সব সড়ক বাতির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, পাশাপাশি ১৫টি পানির পাম্পের বৈদ্যুতিক লাইনও বিচ্ছিন্ন করা হয়। দুই দিন নগরীর অন্ধকার থাকার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।