টাঙ্গাইল পৌর শহরে নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থা

নওশাদ রানা সানভী, টাঙ্গাইল
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:০৫

টাঙ্গাইল জেলার মানচিত্র। ফাইল ছবি
টাঙ্গাইল পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রসহ বিভিন্ন সড়কে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই সড়কে হাঁটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে ভাসে টাঙ্গাইল পৌর শহর।
সড়কের পাশে ড্রেনের পয়ঃনিষ্কাশনের নোংরা পানি আর বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে যায় পুরো পৌর শহর। জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌর এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ নাগরিক ও পথচারীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা সদর সড়কের টাঙ্গাইল ক্লাব, পৌর উদ্যান, প্রেসক্লাব, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, টাঙ্গাইল সদর থানা, জেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে জমে যায় হাঁটু পানি। খুব কষ্ট করে চলাচল করছে পথচারীরা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ নোংরা পানিতে কাপড় নষ্ট করেই যাতায়াত করছেন।
পথচারীরা জানান, সড়ক পাকা হলেও একটু বৃষ্টিতেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানি ড্রেন ভর্তি হয়ে উপচে পড়ে। পৌর এলাকায় দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো করার দাবি জানান তারা।
তোফায়েল রনি নামের এক বাসিন্দা সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, পৌর শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা তেমনটা ভালো না। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমরা দ্রুত পৌর শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো করার দাবি জানাচ্ছি।
ফরিদা আক্তার নামে এক স্কুলশিক্ষক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে হাঁটু পানি জমে যায়। ওই সময়টাতে কোনো রিকশাও পাওয়া যায় না। ফলে সড়কে হাঁটু পানি ভেঙেই বাসায় ফিরতে হয়। এ সময় অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
রিকশাচালক আবেদ আলী বলেন, এ রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আর এ জলাবদ্ধতা থেকে যায় দীর্ঘ সময়। এ সড়কের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুব বাজে।
টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, দীর্ঘ সময় বৃষ্টি হলে তো দু-এক ঘণ্টা জলাবদ্ধতা থাকতেই পারে, এটা ঢাকাতেও হয়। জেলা সদর রোডের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। পানি যাতে দ্রুত নিষ্কাশন হয় এবং মানুষের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়টি নিয়েও কাজ করছি।