Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

বিশ মাস পর হলো পুঠিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র নির্বাচন

Icon

পুঠিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৩২

বিশ মাস পর হলো পুঠিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র নির্বাচন

প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর কামাল হোসেন। ছবি: পুঠিয়া প্রতিনিধি

রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা নির্বাচনের প্রায় ২০ মাস পর প্যানেল মেয়র নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে কাউন্সিলর কামাল হোসেন দ্বিতীয়বারের মত এক নং প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে প্যানেল মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্যানেল মেয়র নির্বাচনে ৬ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অপরদিকে সংরক্ষিত আসনে দুইজন মহিলা কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে কাউন্সিলর কামাল হোসেন ৮ ভোট পেয়ে এক নং প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হন। আর ৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় প্যানেল মেয়র হলেন নিজাম উদ্দীন মুকুল। অপরদিকে আইরিন পারভীন ৮ ভোটে তিন নং প্যানেল নির্বাচিত হোন।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর সারাদেশের সাথে পুঠিয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নতুন মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আল মামুন খান। এরপর গত বছর ৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু নানা অজুহাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্ব নেয়ার প্রায় ২০ মাসেও প্যানেল মেয়র গঠন করেননি। অবশেষে মেয়র জেলে থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পৌরসভায় প্যানেল মেয়র নির্বাচন করা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০১৯ এর ৫৮ নং ধারা মোতাবেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রথম কার্যসভা থেকে এক মাসের মধ্যে কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে অগ্রাধিকারক্রমে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্যানেল মেয়র গঠনে বিধান রয়েছে। এদের মধ্যে একজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর থাকবেন।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন প্রলোভনে স্থানীয় এক নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন মেয়র আল মামুন। সে অভিযোগে গত ৫ সেপ্টেম্বর থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এ ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর বরগুনা থেকে আটক হোন মেয়র। থানা পুলিশ ওইদিন দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পর আদালত তাকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে মেয়র জেল হাজতে রয়েছেন। আগেও গত বছর দুর্গাপুর উপজেলার আরেক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করতো মেয়র। এরফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পরেন। সে সময় ওই নারীও মেয়র আল মামুনের বিরুদ্ধ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে এই বিষয়টি আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির তদারকিতে গোপনে রফাদফা করা হয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫