বন্ধুদের সাথে নেশা করতে গিয়ে স্কুলছাত্র খুন

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:০৬

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি। ছবি: প্রতিবেদক
শেরপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র লাবন হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত গ্রেপ্তার চার আসামির মধ্যে দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পাওয়ার পর রহস্য উন্মোচিত হয়। এ জবানবন্দি আদালতের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে (সদর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান মিয়া সদর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দি গ্রামের মাসুদ রানার পুত্র মো. নাইম মিয়া ওরফে লাবন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে হাডুডু খেলা দেখতে যান। কিন্তু খেলা দেখে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। সেদিন বাড়ির লোকজন তার খোঁজ করেও খুঁজে পাননি। পরের দিন গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে তার মা লাইলি বেগম ছেলেকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ওই গ্রামের জাফর মিয়ার লেবু বাগানের ভিতর লাবনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার ১৬ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুই আসামি হত্যার ঘটনা বর্ণনা করেন এবং স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান মিয়া (সদর সার্কেল) জানান, লাবন নেশাগ্রস্থ ছিলেন। ঘটনার দিন গ্রেপ্তারকৃত নয়ন, হৃদয়, মনির ও আসলামের সাথে লাবন ওই লেবু বাগানে গিয়ে পলিথিনের ভেতরে রেখে ড্যান্ডি গাম নেশা করতে যান। এক পর্যায়ে নেশা করা নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে লাবনকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় হত্যা করে তারা পালিয়ে যান।
পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নেশায় ব্যবহৃত ড্যান্ডি গাম ও পলিথিন উদ্ধার করে। এরপর বিশেষ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত নয়ন ও হৃদয়কে গত ২৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। এদিনই তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।