সালিশের কথা বলে ধর্ষণ, অবশেষে গ্রেপ্তার চেয়ারম্যান-মেম্বার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:২৯

উপজেলার চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (ইউপি) মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর।
সালিশের কথা বলে ডেকে এনে এক কিশোরীকে ধর্ষণে দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (ইউপি) মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর।
আজ শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা শহরের পানসী রেস্টেুরেন্টের সামনে থেকে শাল্লা থানা পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা মিলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেলার শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও ইউপি মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর।
ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়া গ্রামের মলয় দাসের সঙ্গে ওই কিশোরীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিয়ে না করায় গত জানুয়ারিতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরী। এতে প্রেমিক মলয় দাস দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়ে আরেক মেয়েকে বিয়ের প্রস্তুতি নেন। সেসময় ভুক্তভোগী মলয়ের বাড়িতে অবস্থান নেন। পরে মলয়ের পরিবার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে জানান। তখন চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু মলয়ের বাড়ি গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে দেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন। সকালে তাকে সালিশের কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন।
পরে ওই কিশোরে ইউপি অফিসে আসার পর একটি কক্ষে নিয়ে চেয়ারম্যান নান্টু ও তার পরিষদের মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে কোনো মতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে ওই কিশোরী প্রাণভয়ে থানায় আশ্রয় নেন। এ ঘটনার পর থেকে জানুয়ারি মাসেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও ইউপি মেম্বার দেবব্রত দাসের। আজ শুক্রবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে বাহারা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে প্রধান আসামি করে পরিষদের ইউপি সদস্য দেবব্রত দাস ও প্রেমিক মলয় দাসসহ তিনজনকে আসামি করে শাল্লা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয় পুলিশ।