তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় মাইন বিস্ফোরণ, নিহত ১

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২২, ০৮:১৯

বিস্ফোরিত মাইন। ছবি: প্রতিবেদক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় গতকাল রবিবার (২ অক্টোবর) মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে। মাইনটি তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরেই বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে ওমর ফারুক নামে ১৭ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হয়েছেন। এসময় আরেক যুবক আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, নিহত ওমর ফারুক শূন্যরেখার তিন নম্বর ব্লকের আইয়ুবের ছেলে। এছাড়া আহত সাহাবুদ্দিন (২৮) ১০ নম্বর ব্লকের আবুল হোসেনের ছেলে।
তুমব্রু রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যুবক নুর মোহাম্মদ বলেন, তারা দুজন মিয়ানমারের কাঁটাতারের সীমান্তে গেলে সেখানে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে ফারুকের হাত ও দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সাহাবুদ্দিন গুরুতর জখম হয়।
তারা কী কারণে সীমান্তে কাঁটাতারের কাছাকাছি গিয়েছিল সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, মূলত দুজন পাহাড়ি পথ বেয়ে লুকিয়ে মাছ শিকার করতে মিয়ানমারের ভেতরে প্রবেশ করে। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নাইক্ষ্যছড়ি ৩-নং ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, কোনারপাড়ার রোহিঙ্গা স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারা যাওয়ার খবরটি শুনেছি। নিহত কিশোরের দুই পা উড়ে গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
প্রসঙ্গত, গত দুই মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীদের সাথে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এ সময়ে মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দে এপার সীমান্তের বাসিন্দারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে তুমব্রু এলাকার ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী তুইঙ্গাপাড়া নামক এলাকায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর চোরাই পথে গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে সীমান্তের হেডম্যানপাড়ার যুবক অন্ন্যাই তংচঙ্গার (২৮) এক পা উড়ে গিয়েছিল।