চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও প্রতিরোধে নেই উদ্যোগ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২২, ২০:০৫

ফাইল ছবি।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও প্রশাসনের প্রতিরোধে কোনো উদ্যোগ নেই। সিটি করপোরেশনের মশকনিধন কর্মসূচি কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগের মশক জরিপ সব কার্যক্রমই যেন স্থবির হয়ে আছে। এর ফলে সাধারণ জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ আর শঙ্কা।
এদিকে করপোরেশনের কয়েকটি এলাকাকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের অন্যতম ১০টি এলাকাকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
সর্বশেষ গত ২৬ জুলাই ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। কিন্তু উদ্বোধনে যতটা প্রচারণা ছিল সপ্তাহ না পেরুতেই যেন ঘুমিয়ে পড়ে সে কার্যক্রম। তবে চসিক মশার বিস্তাররোধ করতে কাগজে-কলমে কোটি টাকা খরচ করার কথা বললেও সংস্থাটির মশকনিধন কার্যক্রম দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ বেশিরভাগ নগরবাসীর। অথচ সিটি করপোরেশনের ২০২১-২২ অর্থবছরে মশার ওষুধ কেনায় ব্যয় করেছে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। তাছাড়া চলতি অর্থবছরে মশা মারতে আরও ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চট্টগ্রামে মোট ৬১৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে যায়। গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ জন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
গত শনিবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬১৮ জন। হাসপাতালে খোলা হয়েছে আলাদা ডেঙ্গু কর্নার।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, আগের তুলনায় চট্টগ্রামে অনেক বেশি বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হঠাৎ ডেঙ্গুর এমন অস্বাভাবিক আচরণে আমরা চিন্তিত। তবে এতে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সচেতন হতে হবে।