Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

সম্ভাবনা অফুরন্ত, সুবিধা অপ্রতুল

Icon

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২২, ১৩:১৭

সম্ভাবনা অফুরন্ত, সুবিধা অপ্রতুল

টাংগুয়ার হাওর।

পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে টাংগুয়ার হাওরসহ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটের। কিন্তু গত দুই যুগের ব্যবধানেও সে অনুযায়ী বাড়েনি সরকারি- বেসরকারি সুযোগ সুবিধা। নেই সড়ক পথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, দিকনির্দেশক সাইনবোর্ড ও নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশসহ সময় উপযোগী কোনো সুযোগ সুবিধা। এ বিষয়ে পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ

এদিকে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব থাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তাহিরপুর থানায় কর্মরতরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলায় মাদার ফিশারিজ খ্যাত টাংগুয়ার হাওর, এশিয়ার বৃহত্তম শিমুল বাগান, শহীদ সিরাজলেক, হাওলী জমিদার বাড়ি, মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা পাহাড়ি বিভিন্ন ছড়া, বারেকটিলা, যাদুকাটা নদীসহ পর্যটন স্পট ও দর্শনীয় স্থানকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ও দেশের বাইরে থেকেও আসছে নানা বয়সী দর্শনার্থী ও পর্যটক। আর এই পর্যটকদের টাংগুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে  নিয়ে যাওয়ায় জন্য একমাত্র ব্যবস্থা ইঞ্জিনচালিত নৌকা। আর থাকা খাওয়া সব কিছুই এই নৌকায়। ফলে বেড়াতে আসা বেশিরভাগ নারী ও শিশুকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

আর পর্যটকের আগমনের সুযোগে স্থানীয় নৌকা চালকদের আয়ের উৎস হলেও হাউস বোট নামক আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত নৌযানের রমরমা ব্যবসা চলছে। ফলে মার খাচ্ছে স্থানীয়ভাবে তৈরি পর্যটকের নৌকা। বিকল্প সরকারি বা বেসরকারিভাবে রিসোর্ট বা মানসম্পন্ন হোটেল না থাকায় বেশি ভাড়া নিচ্ছে হাউস বোট। তবে কতটা নিয়মনীতি মানা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও কোনো ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই পর্যটকদের রাত যাপনের ব্যবস্থা করছে। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

টাংগুয়ার হাওরে বেড়াতে আসা পর্যটক আনোয়ার হোসেন জানান, টাংগুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন স্পটে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা, স্যানিটেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, দিকনির্দেশক সাইনবোর্ড দেওয়া খুবই প্রয়োজন। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ না দেওয়া হলে পর্যটক ও দর্শনার্থীরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন।

টাংগুয়ার হাওর পাড়ের বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক টাংগুয়ার হাওরসহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আসে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরাও দুশ্চিন্তায় থাকি। ট্যুরিস্ট পুলিশের ব্যবস্থা করা হলে নিরাপদে থাকত পর্যটকরা। এছাড়াও সরকারি- বেসরকারিভাবে উন্নত মানের থাকা খাওয়ার হোটেল তৈরি করা হলে পর্যটকদের আর রাতে নৌকায় থাকতে হবে না।

তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার আহমেদ জানান, এখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের কোনো ক্যাম্প নেই। জনবল কম থাকার পরও পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পর্যটকদের সাধ্যমতো নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। 

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, পর্যটক ও দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য সড়কের মোড়ে মোড়ে নির্দেশনা এবং পর্যটন স্পটের বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে সাইনবোর্ড টানানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের ক্যাম্প স্থাপন করা দরকার।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫