জামালপুরের ইসলামপুরে সেতুর একাংশ ব্রহ্মপুত্র নদীতে ধসে গেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সেতুটি নিয়ে শঙ্কা বিরাজ করছে চলাচলকারীদের মধ্যে। জানা গেছে, উপজেলার ফকিরপাড়া এলাকার শহীদ মেজর খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম সেতু নামের এই সেতুটি তিনটি উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে।

জামালপুরের ইসলামপুর ও বকশীগঞ্জ এবং শেরপুর জেলা সদরের সংযোগ সেতু এটি। সেতুটি ঝুঁকির মুখে পড়ায় স্থানীয় কবরস্থান, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামসহ বেশ কিছু স্থাপনা ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি জানায়, ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০১৮ সালে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, কতিপয় প্রভাবশালী আইন অমান্য করে অবৈধভাবে নদী থেকে বিপুল পরিমাণ মাটি ও বালু উত্তোলন করে। বালু-মাটি বিক্রি করে তারা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর পাড়, হুমকির মুখে পড়েছে সড়ক, সেতু, স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।

ফকিরপাড়া গ্রামবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গয়ালের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে, সব প্রতিরোধ ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান রুমান বলেন, বালু উত্তোলন ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী কালভার্ট, বাঁধ, ব্যারাজ, সেতু, বাঁধ, মহাসড়ক, রেললাইন, আবাসিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। তবে তিনি সেতুটি ধসে পড়ার পেছনে পানির প্রবল স্রোতকে চিহ্নিত করেন এবং এ জন্য বালু উত্তোলন দায়ী নয় বলেও দাবি করেন।