
গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীর ভাঙন।
গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে বসতভিটা ও আবাদি জমি। গত এক সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙনে ১৮টি বসতবাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের ডুবশী, মোল্লাপাড়া এবং ধলইতলা এলাকার মানুষ এখন নদী ভাঙনে দিশেহারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ১০ হাজার বালুর বস্তা ফেলে নদী ভাঙন প্রতিরোধের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারে নগদ ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা, পরিবারপ্রতি ৩০ কেজি চাল ও ২৪ খানা ঢেউটিন, শিশুখাদ্য, গো-খাদ্য ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দীন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার ইউসুফসহ পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ইছাখালী গ্রামের ডুবশী মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাজী আব্দুল কাফি মোল্লা বলেন, আমার ওয়ালসেট টিনের বড় বসতঘর, ১০ বিঘা জমি, শ্যালো মেশিন নদীতে বিলীন হয়েছে। জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সহায়তা ও সান্ত্বনা দিয়েছেন। তিনি নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের দাবি স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ করা হোক।
জালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এফ এম মারুফ রেজা বলেন, আমার ইউনিয়নে ইছাখালী, ডুবশী ও ধলইতলায় প্রায় ৫শ মিটারজুড়ে নদী ভাঙন হয়েছে। ১৮টি পরিবার বসতঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করেছি।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, আপতত নদী ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছি। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ টাকা, ঢেউটিন ও চাল দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।