শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন
হুইপ আতিককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকা ছাড়ার আলটিমেটাম

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২২, ২০:২৪

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক হুমায়ুন কবীর রুমান। ছবি: শেরপুর প্রতিনিধি
জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেরপুর সদর আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকা ছাড়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক হুমায়ুন কবীর রুমান
বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে তার নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এই আলটিমেটাম দেন।
তবে সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক নিবার্চনী নিয়ম মেনেই বাসায় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীদের।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ন কবীর রুমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, আসন্ন জেলা পরিষদ নিবার্চনে ক্ষমতাসীন দলের হুইপ আতিউর রহমান আতিক তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তার পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছেন। তিনি তার পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার চেয়ারম্যান মেম্বারদের টিআর প্রকল্পের সরকারী অনুদান বিলির আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি (হুইপ) নিজ বাড়িতে অবস্থান করে ভোটারদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আনারস প্রতীকের প্রার্থী চন্দন কুমার পালের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। নিবার্চনী আচরণবিধি না মেনে তিনি মেম্বার চেয়ারম্যানদের নিয়ে গোপন মিটিং করছেন যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি ২০১৬ সালেও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছিলেন পরে আমরা কৃর্তপক্ষকে জানালে তিনি শেরপুর ছাড়তে বাধ্য হয়। হুইপ আতিউর রহমান আতিক যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকা না ছাড়েন তবে আমরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।
তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ আতিউর রহমান তার বিরুদ্ধে এটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে জানান, তিনি কোনভাবেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন না বরং তিনি কিছুটা অসুস্থ থাকায় বাসায় চিকিৎসা ও রেস্ট নিচ্ছেন। তিনি কোন মেম্বার চেয়ারম্যানকে জেলা পরিষদের নির্বাচনের ব্যাপারে প্রভাবিত করেননি।
তিনি জানান, নির্বাচনী আচরণবিধিতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করা যাবে না- এমন কোথাও লেখা নেই। যদি নিজ বাড়িতে অবস্থান করা নিয়মে না থাকে তবে তিনি থাকবেন না বলেও গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর শেরপুর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে ঘিরে জেলায় এখন টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।