Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

মিনিকেট নামে চাল বাজারজাতকরণ বন্ধের নির্দেশনা মানছে না কেউ

Icon

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ১২:৫৮

মিনিকেট নামে চাল বাজারজাতকরণ বন্ধের নির্দেশনা মানছে না কেউ

প্রতীকী ছবি।

সম্প্রতি মিনিকেট নামে চাল বাজারে বিক্রি বন্ধে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না। দেশের সকল চাল বাজারে এখনো সয়লাব বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালে। সারাদেশের বাজারে মিনিকেট নামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের যে চাল বিক্রি হচ্ছে, তা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে উদ্ভাবিত কোনো জাত নয়। 

সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গাজীপুরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে কৃষিক্ষেত্রে গবেষণা এবং মাঠ পর্যায়ে জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় জানিয়েছেন, মিনিকেট নামে কোনো চাল বাজারজাত করা যাবে না। বস্তার উপর অবশ্যই ধানের জাতের নাম লিখতে হবে। বাজারজাতকৃত চালের বস্তায় অবশ্যই ধানের জাতের নাম লিখে দিতে হবে। ইতোমধ্যে মিল মালিকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

অতিরিক্ত মুনাফার আশায় দেশের বিভিন্ন এলাকার চালকল মালিকরা ব্রি উদ্ভাবিত নানা জাতের ধানের চাল অতিরিক্ত পলিশিংয়ের মাধ্যমে মিনিকেট হিসেবে বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর প্রতিকার হওয়া উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা । 

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিটের উদ্ভিদ ও রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আশিক ইকবাল খান বলেন, মিনিকেট চাল: এক ফাঁকির নাম, ফসলের ক্ষেতে মিনিকেট নামে কোনো ধানের অস্তিত্ব নেই, সেখানে বাজার সয়লাব মিনিকেট নামের চালে। কীভাবে মিনিকেট চাল হয়, তা ভোক্তাদের অজানা থাকলেও গত দুই দশক ধরেই খাবার টেবিলে তা শোভা বাড়াচ্ছে। কারণ এ থেকে চিকন ও সাদা ভাত হয়। এই চাল নিয়ে অসাধু ও অস্বচ্ছ বাণিজ্যের ফলে একদিকে ভোক্তা প্রতারিত হচ্ছেন, অন্যদিকে অতিমাত্রায় ছাঁটাইয়ের ফলে চালের পুষ্টিমান কমে গিয়ে তা শরীরের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রতারণা ঠেকাতে ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে ।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোজাম্মেল হক বলেছেন, মিলগুলোতে অধিক পরিমাণে পলিশিংয়ের কারণে চালে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদন কমে যাচ্ছে। এতে শুধু ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে না, বরং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের অবদানকে ম্লান করে দেওয়া হচ্ছে এবং বিজ্ঞানীরা উৎসাহ হারাচ্ছেন । 

ব্রি উদ্ভাবিত ধানের জাতগুলোর নামে বাজারে চাল প্যাকেটজাত করা হলে মিনিকেট প্রতারণা থেকে ভোক্তারা মুক্তি পেতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। 

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর জানান, ভারতের উদ্ভাবিত শতাব্দী নামে একটি ধানের জাত কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে মিনি কিট নামে প্রণোদনা দেওয়ার পর মিনিকেটের সৃষ্টি হয়। ভারত ও বাংলাদেশে মিনিকেট নামে ধানের কোনো জাত নেই। এ ব্র্যান্ডিং নামের মাধ্যমে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫