কালিগঙ্গায় রাতের আঁধারে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ২৩:০১
-63502d4fb4325.jpg)
কালিগঙ্গা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ছবি: মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে কালিগঙ্গা নদী থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কাটার মেশিন ব্যবহার করছে। নদীর তলদেশ থেকে লাখ লাখ ঘনফুট বালি-মাটি কেটে বড় আকারের বলগেটে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রিও করা হচ্ছে। এতে কালিগঙ্গা নদীর দুই পাড়ের ভাঙন পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক টেন্ডারকৃত নদী খনন প্রকল্পের সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও, অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে তা লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করছে প্রভাবশালী চক্রটি। এবিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে ওই চক্রের মূল হোতারা।
গত মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টা থেকে ভোর তিনটা পর্যন্ত সরেজমিনে গিয়েদেখা যায়, কালিগঙ্গা নদীর বেওথা, আন্ধারমানিক, বান্দুটিয়া, পৌলি, চামটা, তরা ও উত্তর তরা পয়েন্টে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কাটার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিশাল আকারের প্রতিটি বলগেট ভরতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগছে। বালু ভরার পর আলো নিভিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গন্তব্যে যাচ্ছে এসব বলগেট।
উত্তর তরা গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান, এমনিতেই ভাঙনে আমাদের জমি নদীতে বিলিন হচ্ছে, তার উপর বড় বড় ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার ফলে ভাঙন বেড়ে গেছে। বিকট শব্দের এসব ড্রেজারের কারণে রাতে ঘুমাতেও সমস্যা হচ্ছে।
মাছ ধরতে আসা এক জেলে জানান, প্রতি রাতেই আলো নিভিয়ে বালু ও মাটি ভর্তি বলগেট নদীতে চলাচল করে। এতে আমাদের মাছ ধরার নৌকাসহ নদীতে চলাচলকারী নৌযানগুলো খুবই ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে।