পাহাড়ে আটক কেএনএফ সদস্য কাওসারের বাড়ি শৈলকুপায়

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২২, ১৯:২০

কাওসার আহমেদ ওরফে শিশির। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
গত শুক্রবার বান্দরবনের দুর্গম পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও জামায়াতুল আনসারের ১০ সদস্যকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এদের মধ্যে আটককৃত কাওসার আহমেদ ওরফে শিশিরের (৪৬) বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হারুনদিয়া গ্রামে এবং পিতার নাম মৃত গোলাম কিবরিয়া।
সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে সে সবার বড়। বোনেরা সবাই বিবাহীত। ছোটভাই কেরামত আলী গাড়ির ড্রাইভার পাশাপাশি গরুপালন ও কৃষিকাজ করেন এবং সবার ছোটভাই সোহরাব হোসেন কোরআনে হাফেজ।
কেরামত আলী ও সোহরাব হোসেন জানান, আনুমানিক দুই বছর আগে কাওসার নিরুদ্দেশ হয়। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা শৈলকুপা থানায় জিডি করতে গেলে থানা পুলিশ কাওসারের ছবি না থাকায় জিডি গ্রহণ করেনি। আজই তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে তার আটকের খবর জানতে পারেন।
পরিবারের সূত্র জানায়, নিরুদ্দেশ থাকার সময় সে পরিবারের সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। তার স্ত্রীর সংখ্যা তিনজন। প্রথমে পার্শ্ববর্তী হড়রা গ্রামে বিয়ে করেন। এরপর সে স্ত্রী সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর সে ঝিনাইদহ জেলা শহরে আবার বিয়ে করেন। সেখানে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। পরবর্তীতে চট্রগামে এক নারীকে বিয়ে করেন যার নাম ঠিকানা পরিবারের কেও জানেন না। এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে সে আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন নি। প্রথম দিকে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতো। পরবর্তীতে এলাকায় ফিরে এসে স্থানীয় গাড়াগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে প্রথমে লেপ-তোষকের ব্যবসা শুরু করেন এবং পরে সে কিছুদিন মোবাইল ফোনের ব্যবসা করেন। এলাকায় সে একজন ভাল মানুষ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তার গ্রেপ্তারের খবর শুনে এলাবাসী বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অনেকেই ধারণা করেছিল সে হয়তো বেঁচে নেই। তবে তার জঙ্গী সমপৃক্ততায় এলাকাবাসী বিস্মিত।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবনের পাহাড়ী এলাকায় র্যাবের অভিযানে গত শুক্রবার আটক শিশিরের বাড়ি শৈলকুপার হারুনদিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম গোলাম কিবরিয়া। তাকে নিয়ে তদন্ত চলছে।