চার বছরেও চালু হয়নি গোপালগঞ্জ ট্রমা সেন্টার

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২২, ১৫:৫১

গোপালগঞ্জ ট্রমা সেন্টার। ছবি: প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে চার বছরেও চালু করা সম্ভব হয়নি প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২০ শয্যার ‘ট্রমা সেন্টার’। ফলে অচল হয়ে পড়ে আছে ট্রমা সেন্টার সেবা কার্যক্রম। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ জনগণসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ, হতাশা।
এ অবস্থায় অযত্ন- অবহেলায় বিনষ্ট হচ্ছে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র। ট্রমা সেন্টার চালু না হলেও প্রায় দুই বছর আগে ক্রয় করা হয় ৫৬ লাখ টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র, যা এখন নষ্ট হওয়ার পথে।
আবার এসব জিনিসপত্র পাহারা দেওয়ার জন্য আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওই তিনজন যথাক্রমে- ড্রাইভার, ওয়ার্ডবয় ও ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্টের পিছনে বেতন- ভাতা বাবদ বছরে ৭ লাখ ২২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে; কিন্তু ট্রমা সেন্টার এখনো চালু হয়নি। চালু না হওয়ায় এখানে দুর্ঘটনায় আহতরা কোনো চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না। তাদের চিকিৎসা নিতে ঢাকা না হয় খুলনা যেতে হচ্ছে। অন্যদিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দুর্ঘটনায় আহত স্থানীয় জনগণ।
এখন অযত্ন- অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে নির্মিত ভবনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র। ঘাস আর লতাপাতায় ঘিরে রেখেছে ট্রমা সেন্টারটি। সেখানে এখন মাদকসেবীদের আড্ডা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। সড়কে দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা থেকে। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে জেলার সচেতন মহলসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে।
গোপালগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সৈয়দ মুরাদুল ইসলাম বলেন, ৭-৮ বছর অতিবাহিত হলেও ট্রমা সেন্টারটি চালু হচ্ছে না। এটা গোপালগঞ্জবাসীর জন্য দুর্ভাগ্য।
গোপালগঞ্জ শেখ সাহেরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের প্রকল্প পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনাকবলিত ব্যক্তিদের দূরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার কষ্ট লাঘবে ট্রমা সেন্টারটি অতিসত্ত্বর চালু হওয়া দরকার। গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ও প্রকল্প পরিচালক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, ট্রমা সেন্টার চালু করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনবল নিয়োগ দিলে ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু করা সম্ভব হবে।