প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে দেশে খাদ্যসংকট হবে না: খাদ্যমন্ত্রী

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৫১
-63567c2dd1582.jpg)
বক্তব্য রাখছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে বাংলাদেশে খাদ্য সংকট হবে না। বাংলাদেশের মাটি সোনার চেয়ে খাঁটি। এদেশের উর্বর মাটিতে বছরব্যাপি শস্য উৎপাদন হয়।
আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বরিশাল সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে ‘খাদ্য নিরাপত্তা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বরিশাল নগরীতে নির্মাণাধীন ৪৮ হাজার মেট্রিক টন শস্য ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন রাইস সাইলোর (খাদ্যগুদাম) নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন তিনি।
পরে সার্কিট হাউজে ‘খাদ্য নিরাপত্তা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত দেশের মানুষ বাড়ছে কিন্তু জমি কমছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল জাতের ধান চাষ করে কৃষক ফলন বাড়িয়েছেন। দেশে চার কোটি মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয় যদিও এর থেকে এখন বেশ কিছু খাদ্যশস্য ননহিউম্যান কনজামশনে চলে যায়, যা হিসাবে ধরা হয় না।
চকচকে সিল্কি চাল খাওয়া থেকে জনসাধারণকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধান থেকে চাল তৈরি করতে মিলাররা বার বার মেশিনে দেন, এতে চালের পুষ্টিকর অংশ চলে যায়, থাকে কার্বোহাইড্রে। বারবার চাল মেশিনে পালিশ করতে বিদ্যুতের খরচও যোগ হয়। চালের দাম বেড়ে যায় যা পরবর্তীতে ভোক্তার পকেট থেকে পরিশোধ করতে হয়।
মন্ত্রী সাইলো নির্মাণসংশ্লিষ্ট যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ও যথাযথ মান বজায় রেখে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্বব্যাংককেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষির উন্নয়নে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন। বরিশালে রাইস সাইলো নির্মাণের ফলে দুর্যোগকালে এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবত সাদিক আব্দুল্লাহ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয় সাইলোর নির্মাণে চুক্তিমূল্য ৩৩০ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা এবং নির্মাণকাল দুই বছর। সাইলোর কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৫২ শতাংশ সমাপ্ত হয়েছে। ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানা যায়।