চাঁদা না পেয়ে নির্মাণাধীন মসজিদে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১৫:৩৯

কিশোর গ্যাং। ছবি: প্রতীকী
রাজশাহীর পুঠিয়ায় চাঁদা না পেয়ে উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাং। সেই সাথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কিশোর গ্যাংটির নেতাসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ এলাকায় নবনির্মিত মডেল মসজিদে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। আর ২৪ অক্টোবর রাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযুক্তরা হচ্ছে- চারঘাট উপজেলার গ্রাম শিবপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে সাকলাইন ও আকাশ, একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে নাহিদ, আফতাব আহম্মেদের ছেলে ফাহিম আহম্মেদ, মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শান্ত ও শারভী এবং আব্দুল খালেকের ছেলে হৃদয়।
জানা যায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে পুঠিয়া উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবুল হোসেন টের্ডাস।
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২০ অক্টোবর দুপুরে মডেল মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। এ সময় কিশোর গ্যাং এর নেতা সাকলাইন ও আকাশের নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নির্মাণাধীন এলাকায় এসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
তিনি বলেন, চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা প্রথমে আমাকে মারধর করে, পরে রামদা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। সে সময় শ্রমিকরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। সেই সাথে চাঁদার টাকা না দেয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় তারা। বিষয়টি মালিক পক্ষকে অবহিত করা হলে, মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক সোমবার রাতে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়াদী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চাঁদা না দেয়ায় উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজে বাধা দেয়া ও মারধরের ঘটনায় ঠিকাদারের পক্ষ থেকে গত সোমবার রাতে ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।