দেবীগঞ্জ সেটেলমেন্ট অফিসে পেশকারের ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ১৬:২৪
সেটেলমেন্ট অফিসে পেশকারের ঘুষ লেনদেন। ছবি: পঞ্চগড় প্রতিনিধি
জমি জরিপে পদে পদে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ পুরনো। বছরের পর বছর জমি জরিপের নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সেটেলমেন্ট অফিসে সেবা গ্রহণের প্রতিটা ধাপে অর্থ না গুনলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ।
জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার পদে কর্মরত এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে নিজ কার্যালয়ে বসে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত পেশকারের নাম আব্দুল হামিদ। সম্প্রতি তার ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে আসে। ভিডিও প্রকাশ্যে এলে বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ভিডিওতে পেশকার আব্দুল হামিদকে অফিস চলাকালীন সময়ে নিজ কার্যালয়ে বসে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে দুই দফায় টাকা নিয়ে ড্রয়ারে রাখতে দেখা যায়।
ভিডিওতে সেটেলমেন্ট অফিসের অনিয়মের ভয়াবহ চিত্র সামনে উঠে এসেছে। তবে এখানে কর্মরত স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অর্থ লেন-দেনের অভিযোগের পাল্লা বেশ ভারী।
অনুসন্ধানে উঠে আসে, উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ও পেশকার নিজেরাই অনিয়মের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ফলে পুরো অফিস অনিয়মের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। অফিসে কর্মরত স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মচারীরা যে যার মতো করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন সেবা প্রদানের নামে। দিন শেষে সারাদিনের মোট সংগ্রহ থেকে পদ অনুযায়ী হয় অর্থের ভাগ বাটোয়ারা।
অফিস সূত্রে জানা যায়, পেশকার আব্দুল হামিদ মাঝে এক বছরের জন্য বদলী হয়ে ২০০৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১৩ বছর একই অফিসে কর্তব্যরত আছেন। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের কাছে কখনো নিজে আবার কখনো অধস্তন কর্মচারীদের দিয়ে ঘুষ দাবি করেন। দীর্ঘ দিন একই কর্মস্থলে থাকার সুযোগে অনিয়মে তাই রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি শুনেছি। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার শামসুল আযম বলেন, আমি এখনই সেখানকার স্যাটেলমেন্ট অফিসারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলছি। অনিয়মের সাথে কেউ জড়িত থাকলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।