রুবেল হোসেন। ছবি: প্রতিনিধি
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে অতিথি শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী রুবেল হোসেন। একটি হুইল চেয়ারের অভাবে হাতের ওপর ভর করে চলাচল করেন তিনি। মাত্র ৬ বছর বয়সে জ্বরে দুটি পা প্যারালাইসিস হয়ে যায় রুবেলের। এর পর থেকে তার জীবনে নেমে আসে সংগ্রাম।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মিরকামারী গ্রাম থেকে প্রাইমারি ও মাধ্যমিক শেষ করে দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও গ্র্যাজুয়েশন করেন রুবেল হোসেন। লেখাপড়ার অদম্য ইচ্ছা তাকে এগিয়ে চলতে উৎসাহিত করেছে। এর পর পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন রুবেল। এখন তিনি খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন; কিন্তু প্রতিষ্ঠানে আসতে বেশ কষ্ট হয় তার। হাতে ভর দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হয় তাকে। শিক্ষক রুবেলের ভাগ্যে জোটেনি একটি হুইল চেয়ার। কেউ তাকে সহযোগিতা করার জন্য আসেনি।
এ বিষয়ে এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম জহুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা স্কুল থেকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে রুবেলকে মাসে ৬ হাজার টাকা দেই।
এ বিষয়ে মো. রুবেল হোসেন জানান, এক পুত্র ও কন্যার জনক তিনি। এ জীবন নিয়ে বর্তমানে শিক্ষকতা করেই তার সংসার চলেছে। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে সন্তান নিয়ে একটু ভালো থাকতে পারতেন। ঈশ্বরদী উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আরিফুল ইসলাম এ ব্যাপারে স্কুলে খোঁজ নিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছেন বলে জানান।