চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের কলোনীপাড়ায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ সম্প্রসারণ বিষয়ক কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কোলনীপাড়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশটি। 

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এবং সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা। 

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ জেলায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩৫০ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৫০ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩৫০ জন ও জীবননগর উপজেলায় ২৫০ জন কৃষকসহ মোট ১ হাজার ২০০ জন কৃষক প্রণোদনার আওতায় এসেছে। এর ফলে এ জেলায় ৩ হাজার ১২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

কৃষক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবাইর মাসরুর, বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার ও সমাজ সেবক নবী চৌধুরী। 

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, বেগমপুর ইউপি সচিব ফয়জুর রহমান, ইউপি সদস্য কায়েস উদ্দিন ও আলী কদর।

সমাবেশে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে জড়িয়ে আছে এদেশের কৃষি ও কৃষক। দিনের পর দিন পরিশ্রম করে আমাদের সারা দেশের খাদ্যশস্যের জোগান দিয়ে থাকেন তারাই হলেন কৃষক। আমাদের দেশে প্রধানত শীতকালে পেঁয়াজ চাষ হয়। কৃষিতে বিপ্লব ঘটায় নানা পদ্ধতিতে শীতের ফসল গ্রীষ্মে চাষাবাদ হচ্ছে। বেগমপুর গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন তার দৃষ্টান্ত। নাসিক রেড এন ৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চলেছেন তিনি। দেশে এ সময়টায় বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। ব্যাপক হারে এ পেঁয়াজের চাষ হলে কমে যাবে আমদানি নির্ভরতা।’