সিত্রাংয়ে সাতক্ষীরার বেড়িবাঁধে ব্যাপক ক্ষতি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২২, ১৫:৪৯

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ। ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুই দিনের টানা বৃষ্টি ও নদীতে প্রবল জোয়ারের উত্তাল ঢেউয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি জরাজীর্ণ উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে উপকূল রক্ষাবাঁধের কয়েক ফুট। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়, মাছের ঘের, ফসলের জমিসহ কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি। উপক‚লবাসীর দাবি- ‘ত্রাণ চাইনা, চাই টেকসই বেড়িবাঁধ’।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের হরিশখালী, নাপিতখালী, বড় গাবুরা, সীমান্তবর্তী কৈখালী ইউনিয়নের নৈকাটি, বিজিবি ক্যাম্পসহ আদম আলীর বাড়ি সংলগ্ন অংশে প্রায় ২০০ মিটার বাঁধে ধস দেখা যায়। জোয়ারের পাশাপাশি ঢেউয়ের তীব্রতায় সোমবার বাঁধের এসব অংশ পাশের কালিন্দি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ মিটার দীর্ঘ কাজ মাত্র দুই মাস আগে প্রতাপনগর ইউনিয়নের শ্রীপুর কুড়িকাউনিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় যেনতেন উপায়ে সংস্কার করা হয়; কিন্তু সিত্রাংয়ের প্রভাবে প্রবল স্রোতে বাঁধটির ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে। যে কোনো সময় নদের জোয়ারে বাঁধটি ভেঙে একাধিক গ্রাম তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
১০ নম্বর প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু দাউদ ঢালী বলেন, ‘প্রতাপনগর ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধের ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে। উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়ায় শ্রীপুর এলাকার বাঁধটি আগে থেকেই ভাঙছিল। সিত্রাংয়ের প্রভাবে কপোতাক্ষ নদের প্রবল স্রোতে ১০/১২ ফুট চওড়া বাঁধটি ভেঙে এখন মাত্র দেড় থেকে দুই ফুট অবশিষ্ট রয়েছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে প্রতাপনগর ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষেত ও মাছের ঘের প্লাবিত হতে পারে।’
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে কোথাও প্লাবিত হয়নি। তবে ষাটের দশকে নির্মিত বেড়িবাঁধ দুর্ঘটনা ঘটে গেলে রক্ষা করা কঠিন। তার পরও পানি উন্নয়ন বোর্ড তার প্রয়োজনীয় সামার্থ্য দিয়েই কাজ করে চলেছে।