নদীর পাশের চরে উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত শুটকি

পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৪৪

শুটকি উৎপাদনে কাজ করছেন শ্রমিকরা। ছবি: প্রতিবেদক
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে শুটকি উৎপাদন শুরু হয়েছে। উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য বন্দর-সংলগ্ন কচা নদীর পাশের চরে উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত শুটকি। স্থানীয়ভাবে তৈরি এ শুটকিতে বিষ বা রাসায়নিক পাউডার দেওয়া হয় না বলেই এ শুটকির সুনাম এবং চাহিদা অনেক বেশি।
গত বুধবার (২ নভেম্বর) থেকে পাড়েরহাটে শুটকি উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। পাড়েরহাট মৎস্য বন্দর থেকে সংগৃহীত বাছাই করা মাছ থেকেই এখানে শুটকি তৈরি করা হয়। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চলবে শুটকি উৎপাদনের কাজ।
গতকাল শনিবার (১২ নভেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডেলা, পাইসা, ছুরি, লইট্যা ও ডুম্বুরা মাছের শুটকি প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। অন্যান্য শুটকি পল্লীতে মাছের খাদ্য তৈরির শুটকি উৎপাদিত হলেও পাড়েরহাটে শুধুমাত্র মানুষের খাওয়ার শুটকি উৎপাদিত হয়।
স্থানীয়রা জানান, পাড়েরহাটের বাদুরা এলাকার বাসিন্দা আকিজুল বেপারী এক একর জমির ওপর এ শুটকি পল্লী নির্মাণ করেছেন। ছয় বছর ধরে তিনি এখানে শুটকি তৈরির কাজ করছেন। তার শুটকি পল্লীতে ১০ জন শ্রমিক কাজ করেন।
আকিজুল বেপারী সাংবাদিকদের জানান, শুটকি তৈরিতে তিনি বিষ বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেন না। আড়ত থেকে মাছ কিনে লবণ পানিতে একদিন ভিজিয়ে রাখেন। এরপর বাঁশের তৈরি মাচা এবং বেড়ায় মাছ শুকাতে দেন। আট থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাঁচা মাছ শুটকিতে পরিণত হয়। তিনি বছরে প্রায় ৮০০ থেকে এক হাজার মণ শুটকি তৈরি করেন। তার উৎপাদিত শুটকি কক্সবাজারের বিভিন্ন আড়তে পাইকারি দামে বিক্রি হয় বলেও জানান তিনি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তপন কুমার বেপারী জানান, শুঁটকি উৎপাদন তৈরিতে দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দেওয়া হয়। পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরে বিষ বা রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়া শুঁটকি তৈরি করা হয়।