
আকিজ জুট মিল। ছবি: যশোর প্রতিনিধি
বাইরের দেশের অর্ডার না থাকা এবং দেশের বাজারে পাটের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে বেসরকারি খাতে বৃহৎ আকিজ জুট মিল পুরোপুরি সচল রাখা যাচ্ছে না। আর এ জন্য মিলের ৬ হাজার ৩০০ অস্থায়ী কর্মীকে কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
আকিজ জুট মিলের নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল হাকিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আকিজ জুট মিল মিলের সিবিএ সভাপতি আব্দুস সালাম জানান, অভ্যন্তরীণ বাজারে গুণগত মানের পাট পাওয়া যাচ্ছে না এবং পাটের দামও অনেক বেশি। যে কারণে উৎপাদন সীমিত করেছে কর্তৃপক্ষ। মিলে প্রায় ৬ হাজার ৩০০ বদলি শ্রমিক রয়েছে। মূলত তাদেরই কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। বাকি ৭০০ স্থায়ী কর্মী দিয়ে মিলের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া বৈদেশিক অর্ডারও কমে গেছে।
মিলের নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল হাকিম জানান, তাদের পণ্য মূলত তুরস্কে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উৎপাদিত পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। আর পাঠাতে গেলে খরচও বেশি হচ্ছে। সেই সাথে নতুন অর্ডারও কমে গেছে। এর পাশাপাশি দেশের বাজারে গুণগত মানের পাট পাওয়া যাচ্ছে না। যে পাট পাওয়া যাচ্ছে, এর দাম অনেক বেশি। সব মিলিয়ে তিন শিফটে উৎপাদন সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। লোকসান এড়াতে স্থায়ী শ্রমিকদের দিয়ে এখন দুটি শিফটে কাজ চলছে।
তিনি আরো জানান, ৬ হাজার ৩০০ বদলি শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এ কারণে ২৩টি বাস সার্ভিসও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মিলের শ্রমিকদের প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পাওনা পরিশোধ করে দেয়া হয়। বদলি শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ তাদের মজুরি না পান, তাহলে মিলে যোগাযোগ করলে পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানার কার্যক্রমও পূর্ণ উদ্যমে শুরু করা হবে। তখন বদলি শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে পারবেন বলে নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল হাকিম জানান।