রাজধানীসহ সারাদেশে বিষমুক্ত খাবার উৎপাদন ও সরবরাহে নজীর স্থাপন করেছে মানিকগঞ্জের প্রাকৃতিক কৃষি কেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও শতভাগ রাসায়নিকমুক্ত চাষাবাদ ও বিপণন শুরু করেছেন ৪০ বছর বয়সী দেলোয়ার জাহান।

ঘিওর উপজেলার কাউটিয়া এলাকায় স্থাপিত কৃষি খামারটি ইতোমধ্যে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। 

জানা গেছে, আলোড়ন সৃষ্টিকারী রাসায়নিকমুক্ত খাদ্য শষ্যের উদ্ভাবক দেলোয়ার জাহান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষে সাংবাদিকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। কিছুতেই যেন মন টিকছিল না নিজ পেশায়। কৃষি বিষয়ে অর্জিত জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে এবং মানুষের নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনীয়তার উপলব্ধি থেকেই গড়ে তোলেন ‘প্রাকৃতিক  কৃষি কেন্দ্র’।

নিজ বাড়ি কুষ্টিয়া হলেও মাটির গুণাগুণ ও ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে মাত্র ৩১ শতাংশ জমির ওপর ২০১২ সালে গড়ে তোলেন এই প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে এর পরিধি ১২ বিঘা অতিক্রম করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে আশপাশের চার-পাঁচ গ্রামের শতাধিক কৃষক রাসায়নিকমুক্ত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে সক্ষম হয়েছেন।

প্রাকৃতিক কৃষি কেন্দ্রের উদ্ভাবক দেলোয়ার জাহান জানান, আমাদের খামারে উৎপাদিত কৃষিসামগ্রী স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীতে সরবরাহ করে থাকি। বর্তমানে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোডে আমাদের প্রাকৃতিক কৃষি বিপণন কেন্দ্র রয়েছে। এই কেদ্র থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সরাসরি ও অনলাইনের মাধ্যনে আমাদের খামারে উৎপাদিত বিষমুক্ত পণ্য পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হচ্ছে।

শতভাগ রাসায়নিকমুক্ত খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন ও বিক্রি করে প্রাকৃতিক কৃষি খামারটি ইতোমধ্যে মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের অর্জিত মুনাফা থেকে প্রকল্পের সম্প্রসারণকাজ অব্যাহত রেখেছি।