পুলিশ পরিচয়ে ব্যাংকসহ পাঁচ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:৪০

ব্যাংক এশিয়া। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল জেলার উজিরপুরে ঐতিহ্যবাহী শিকারপুর বন্দরে ব্যাংক ও জুয়েলার্সসহ পাঁচ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। আজ রবিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে নৈশ প্রহরীসহ ৩৫জন ফুটবল দর্শকদের ক্লাবের মধ্যে বেঁধে রেখে একদল ডাকাত পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতী করে।
ডাকাত দল বাজারের তিনটি জুয়েলার্সের দোকান, একটি ফার্মেসি ও ব্যাংক এশিয়ার তালা ভেঙে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে।
খবর পেয়ে জেলা এবং থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাতে উজিরপুরের শিকারপুর বন্দরে একটি ক্লাবে বিশ্বকাপ খেলা উপভোগ করছিল প্রায় ২০জন ফুটবল দর্শক। রাত ২টার দিকে হঠাৎ ডাকাত দল নৈশ প্রহরী মন্টু ও কয়েকজন পথচারী এবং ফুটবল প্রেমীসহ ৩৫জনকে ক্লাবে আটকে রেখে ডাকাতী করে।
কনিকা জুয়েলার্সের মালিক জামাল হোসেন সরদার জানান, তার দোকানের তালা ভেঙে দেড় ভড়ি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে ডাকাত চক্ররা।
আহম্মদ জুয়েলার্সের মালিক জনি সরদার জানান, তার দোকান থেকে দুই ভরি স্বর্ণ, ১২০ ভরি রুপা ও নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
রিয়া জুয়েলার্সের মালিক সিরাজুল ইসলাম জানান, তার দোকান থেকে প্রায় ১৫ ভরি রুপা নিয়ে গেছে।
আল মদিনা ফার্মেসির মালিক বাবুল হোসেন জানান, তার দোকান থেকে নগদ ২ লাখ টাকা ও বহু ওষুধ নিয়ে গেছে ডাকাত দল।
এছাড়া ব্যাংক এশিয়া শিকারপুর এজেন্ট মালিক এম.ডি জহিরুল ইসলাম বলেন, মূল ফটকের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে প্রায় ৬৬ হাজার টাকা লুটে নেয় ডাকাতরা। এছাড়াও রূপালী ব্যাংকের গেটের তালা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে। এসময় আনসার মো. মেহেদী হাসান টের পেয়ে উজিরপুর মডেল থানায় ফোন করেন এবং ম্যানেজারকে ফোন করে বিষয়টি জানান।
রূপালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এরপর ডাকাত চক্র পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বাজারের নৈশ প্রহরী মন্টু বলেন, ২০-২৫ জন লোক পুলিশের পরিচয় দিয়ে সবাইকে ক্লাবে আটক করে ডাকাতী করেছে। তারা আমাকে মারধরও করেছে। তারা নদী পথে স্পিডবোট নিয়ে আসে।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল হাসান জানান, কয়েকটি দোকানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজ সকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।