Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৩৫

আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজার যাবেন। ওই দিন কক্সবাজারের ইনানী-পাটোয়ারটেক সৈকতে অনুষ্ঠেয় তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়ার উদ্বোধন করবেন। এরপর তিনি শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন। ওই দিন কক্সবাজার সড়ক বিভাগের তিনটি সড়কের উদ্বোধন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফীন

তিনি জানান, সড়ক তিনটি হলো হাড়িয়াখালী থেকে শাহপরীরদ্বীপ অংশ পুনঃনির্মাণ-প্রশস্তকরণ, কক্সবাজারের লিংক রোড থেকে লাবণী মোড় সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ ও রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্ততার উন্নীতকরণ প্রকল্প। এই সড়ক তিনটি নির্মাণে মোট ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

হাড়িয়াখালী থেকে শাহপরীরদ্বীপ অংশ পুনঃনির্মাণ-প্রশস্তকরণ
সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, দেশের সর্বদক্ষিণে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ মহাসড়কটি অবস্থিত। সড়কটি ওই এলাকার জনসাধারণসহ মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পণ্য পরিবহনের প্রধান সড়ক। সরকার সড়কটিকে ৩.৭০ মিটার থেকে ৫.৫০ মিটারে উন্নীতকরণের প্রকল্পটি গ্রহণ করে। যেখানে ৫.১৫ কিলোমিটার সড়কাংশ, ১টি সেতু ও ১২টি কালভার্ট রয়েছে। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ৫৯ কোটি টাকা।

লিংক রোড থেকে লাবণী মোড় সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ
সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, লিংক রোড-লাবণী মোড় সড়কটি পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত। দেশি-বিদেশি লাখ লাখ পর্যটকের সমাগমে এই সড়কটি মুখরিত থাকে। সরকার পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে সড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৯.৬৪ কিলোমিটার। যার মধ্যে ২০টি কালভার্ট রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম সড়ক সার্কেলের তত্ববধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বলেন, প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ ওই এলাকার জনসাধারণ সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। সড়কের উভয় পার্শ্বে সড়ক বাতি স্থাপন করায় রাতের আলোতে ফুটপাত ধরে পর্যটকদের আনাগোনা এই নগরীর দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ২১৭ কোটি টাকা।

রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্ততার উন্নীতকরণ
সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় দিয়ে ওই এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী যাতায়াত করে থাকেন। রামু সেনানিবাসের অবস্থানের কারণে সড়কটি সামরিক গুরুতপূর্ণ। সড়কটি চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি টেকনাফ গমনের একমাত্র মাধ্যম হওয়ার কারণে বর্তমান সরকার সড়কটিকে ৩.৭০ মিটার থেকে ১০.৩০ মিটারে উন্নীতকরণের প্রকল্প গ্রহণ করে। যার মধ্যে ২টি সেতু ও ১৪টি কালভার্ট আছে।

চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান বলেন, প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মিয়ানমার থেকে আমদানীকৃত পণ্যসমূহ এবং সাময়িক আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ক্যাম্প সমূহে পরিবহন সহজতর হয়েছে এবং সড়কের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার হ্রাস পেয়েছে। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ১৮৪ কোটি টাকা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫