শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের লাথিতে জ্ঞান হারালো শিক্ষার্থী

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৫৯

ছবি: খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও শ্রেণিকক্ষেই শাহিনা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থীকে লাথি মারলেন শিক্ষক।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সীমান্তঘেঁষা তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শাহিনা তাইন্দংয়ের মুসলিমপাড়ার নোয়াব আলী সর্দারের মেয়ে। সে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ পিরিয়ডে দশম শ্রেণিতে পড়ানোর সময় শিক্ষক নন্দপাল চাকমা কোনো কারণ ছাড়াই টেবিলের উপর উঠে শাহিনার বুকে ও পেটে লাথি মারেন এবং বলতে থাকেন, চাকরি গেলে যাবে, তোকে আজ মেরে ফেলবো।
এসময় তার সহপাঠীদের চিৎকারে পাশের শ্রেণি কক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে এবং শাহিনাকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাইন্দং বাজারে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই শিক্ষার্থী তার বাড়িতে আছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ নুর নবীকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা অনাকাঙ্খিত। বিদ্যালয়টি অভিভাবকহীন হওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ঘটনায় বিভিন্ন সূত্রে নন্দপাল চাকমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।