তথ্য না দেওয়ায় খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জরিমানা

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ২১:২১

গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম। ছবি: রাজশাহী প্রতিনিধি
তথ্য সরবরাহ না করার দায়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামকে অর্থদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশ তথ্য কমিশন।
আজ রবিবার (১১ ডিসেম্বর) তথ্য কমিশনের ভার্চুয়ালি শুনানিতে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ এই অর্থদণ্ড দেন। একই সাথে সেবাপ্রার্থীর চাওয়া তথ্য সরবরাহের আদেশ দেন।
জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর গত ১৬ মার্চ গোদাগাড়ী পৌর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বাতেন বেশকিছু বিষয়ে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। তথ্য অধিকার আইন (২০০৯) অনুযায়ী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম আবেদনকারীকে তথ্য প্রদান করেননি।
পরে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করার পর গত ২২ আগস্ট শুনানি হয়। এতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম ও অভিযোগকারী আব্দুল বাতেন অংশ গ্রহণ করলে উভয়ের কথা শুনে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য প্রদান করতে বলে। তথ্য প্রদানের জন্য তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদনকারীকে তথ্যমূল্য চেয়ে চিঠি প্রদান করতে বললেও সেটিও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্ণপাত করেননি।
পরে অভিযোগকারী আবারো তথ্য কমিশনে অভিযোগ দিলে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয়ের শুনানি হলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামের তথ্য কমিশনের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন না করা ও তথ্য প্রদান না করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। তথ্য অধিকার আইন (২০০৯) লঙ্ঘন করায় প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামকে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদানসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য আবেদকনারীকে তথ্যমূল্য চেয়ে চিঠি প্রদান ও তথ্য প্রদান করতে কড়া নির্দেশনা প্রদান করেন। এই নির্দেশনা অমান্য করলে আইনের কঠোর শাস্তির হুশিয়ারি দেয়া হয়। এই শুনানিতে তথ্য কমিশনের আরো দুই কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল বাতেন বলেন, তথ্য পাওয়া প্রত্যেকটি নাগরিকের অধিকার। যেটা আইনত স্বীকৃত। কিন্তু ওই কর্মকর্তা আইনের তোয়াক্কা করেননি।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামের মুফোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।