লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের রোগীরা

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:০১

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ রোগীরা হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
গত তিনদিন ধরে টানা লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন ২০০ শয্যাবিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের রোগীরা।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বৈদ্যুতিক পাখাগুলো বন্ধ হয়ে আছে। হাতপাখা দিয়ে রোগীদের বাতাস করছেন স্বজনরা। অনেকে গরম সহ্য করতে না পেরে রোগীদের কক্ষের বাইরে নিয়ে গেছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় ও অসুস্থ শরীরে চলাফেরা করায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের স্বজনরা জানান, সোমবার রাত ১১টা থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল মাত্র তিন ঘণ্টা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসে। রাত ১২টার দিকে আবারো বিদ্যুৎ চলে যায়। পরবর্তীতে রাত ২টার দিকে আসে বিদ্যুৎ আসে। কিন্তু ভোরের দিকে আবারো লোডশেডিং হয়। বুধবার সকালে একবার এসে কয়েক মিনিট থাকার পর আবার চলে যায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে একবার বিদ্যুৎ আসলেও এর স্থায়িত্ব ছিল এক মিনিট।
হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্বজন কাঞ্চন বেগম জানান, সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। দুপুর ১২টার দিকে একবার এসে এক মিনিট থেকে চলে গেছে। গরমে অনেক কষ্ট পেতে হচ্ছে।
রোগীর সঙ্গে আসা মদিনা বেগম নামের আরেকজন জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় অসুস্থ রোগীকে বারবার বাইরে নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে কক্ষেই হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাহফুজার রহমান বলেন, ‘হাসপাতাল চত্বরে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে তার ল্যুজ হওয়ার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। তাই সমস্যায় পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।’
তিনি বলেন, ‘গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডকে (নেসকো-২) জানানোর পর মঙ্গলবার রাতে ঠিক করে দিয়ে যাওয়ার পরও সমস্যা হচ্ছেই। বুধবার দুপুর ১টার পরে আবারো লাইন মেরামত করে দিয়ে গেছে তারা।’
নেসকো-২ এর এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার রাতে লাইন মেরামত করতে গেলে সমস্যা না থাকায় তখন আর মেরামত করতে দেয়নি কেউ। তারপরও বুধবার আবার সমস্যা হওয়ায় মানবিক দিক বিবেচনা করে লাইন মেরামত করে দেওয়া হয়েছে।