স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতিনিধি, খুলনা
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:১৪

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আফসানা মিমি। ছবি: সংগৃহীত
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন বাস্তহারা কলোনিতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আফসানা মিমিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বিকেলে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে মামলার অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় সব আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পর এই রায় দেওয়া হলো।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাস্তহারা কলোনির ৯ নম্বর রোডের মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা বাবুল (৩৮) ও ৯ নম্বর রোডের সাদেক হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসেন (৩৭)।
খালাস পেয়েছেন বাস্তুহারা কলোনির ১০ নম্বর রোডের মোজাফ্ফর আহমেদের ছেলে মো. আশা মিয়া (২২), ৪ নম্বর রোডের বাসিন্দা মো. আব্দুল বাশার হাওলাদারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলী (২৪), ১১ নম্বর রোডের বাসিন্দা মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ (৪০) ও ৭ নম্বর রোডের আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে খালিশপুর থানার বাস্তুহারা কলোনির ৯ নম্বর রোডের ৪৯৮ নম্বর বাড়িতে বাসিন্দা মো. ইমাম হোসেনের শিশুকন্যা মিমি দুই টাকা নিয়ে ঝালমুড়ি কিনতে যায়। কিন্তু অনেক সময় পরেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবার। তাকে না পেয়ে তার বাবা রাতেই খালিশপুর থানায় জিডি করেন। পরের দিন দুপুর ৩টার দিকে মাদ্রাসার খাদেম কুদ্দুস দিঘিতে আফসানা মিমির মরদেহ দেখে লোকজনকে জানান।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা খালিশপুর থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ইমাম হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেন এলাকার কালা বাবুল, কাদের ও এমদাদসহ কয়েকজন তার মেয়ে মিমিকে উত্ত্যক্ত করত।
২০১০ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মোকাদ্দেশ আলি আদালতে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষ্য দেন। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা চলমান থাকার পর আদালত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি এড. ফরিদ আহমেদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. মোমিনুল ইসলাম।